Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করছে। বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবন প্রাঙ্গণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে যার যার অধিকার নিয়েই বসবাস করবে। স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। সে জন্যই আমি বলেছি- ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানবতার কথা বলি। যীশু খ্রীষ্টও মানবতার কথা বলেছেন। আবার আমাদের নবী করিম (সাঃ)-ও এই মানবতার কথা শিখিয়েছেন। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেটাই মানতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এটা প্রযোজ্য। সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

এসময় আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করার ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, রেলে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানুষ পুড়িয়ে মেরে কী অর্জন করছে সেটাই আমার প্রশ্ন। এ ধরনের সংঘাত বন্ধ হোক, সেটাই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে, উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে, এটা বাংলার মাটিতে চলবে না। আমি ধিক্কার জানাই যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতা এবং যারা এ ধরনের কাণ্ড ঘটায় তাদের। এভাবে জীবন্ত মানুষ পোড়ানো মহাপাপ-অন্যায়। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যায় না। কোনো ধর্মগুরুই এটা মেনে নেননি।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশেও কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের অপচেষ্টা করছে। মানুষ হত্যা করে কোন ধরনের রাজনীতি তারা করছে? এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বের সব খৃস্টান ধর্মের মানুষকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। এ সময় প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বড়দিন উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে খ্রিস্ট ধর্ম অনুসারীদের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কুড়িগ্রামে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ৩০ গ্রামের মানুষ

বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:১১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করছে। বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবন প্রাঙ্গণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে যার যার অধিকার নিয়েই বসবাস করবে। স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। সে জন্যই আমি বলেছি- ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানবতার কথা বলি। যীশু খ্রীষ্টও মানবতার কথা বলেছেন। আবার আমাদের নবী করিম (সাঃ)-ও এই মানবতার কথা শিখিয়েছেন। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেটাই মানতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এটা প্রযোজ্য। সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

এসময় আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করার ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, রেলে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানুষ পুড়িয়ে মেরে কী অর্জন করছে সেটাই আমার প্রশ্ন। এ ধরনের সংঘাত বন্ধ হোক, সেটাই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে, উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে, এটা বাংলার মাটিতে চলবে না। আমি ধিক্কার জানাই যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতা এবং যারা এ ধরনের কাণ্ড ঘটায় তাদের। এভাবে জীবন্ত মানুষ পোড়ানো মহাপাপ-অন্যায়। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যায় না। কোনো ধর্মগুরুই এটা মেনে নেননি।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশেও কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের অপচেষ্টা করছে। মানুষ হত্যা করে কোন ধরনের রাজনীতি তারা করছে? এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বের সব খৃস্টান ধর্মের মানুষকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। এ সময় প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বড়দিন উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে খ্রিস্ট ধর্ম অনুসারীদের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি।