Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। মঙ্গলবার ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনেও কমলাপুরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে দিনের শুরুতে কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে স্টেশনে পৌঁছায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে। আর যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার ও ভোগান্তির কথা।

রেলসূত্র জানিয়েছে, দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে রাজশাহীর উদ্দেশে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ৬টা ৪০ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৮টা ১৫ মিনিট ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি রেলস্টেশন ছাড়ে ৯টা ১০ মিনিটে।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী সাগুফতা আফরোজ বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি। এখনও ট্রেন ছাড়ার কোনো নাম নাই, বিরক্ত লাগছে। মোটামুটি সব ট্রেনই দেরিতে ছাড়ছে। সবাই হৈ চৈ করছে। ট্রেনের টয়লেটও অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর।

ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহরাব হেসেন বলেন, পরিবার নিয়ে ভোরে বাসা থেকে এসেছি। এসে দেখি প্ল্যাটফর্মে কোনো ট্রেনই নাই। এভাবে দীর্ঘ সময় পার করার পর ট্রেন এসেছে। তারপর অপরিষ্কার ট্রেনেই আমাদের উঠতে হয়েছে।

নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা খুবই কষ্টের। ঈদযাত্রার প্রথম দিন দেখলাম ভালোই ছিল। আজ মঙ্গলবার এসে সব এলোমেলো হয়ে গেল। দেখলাম উত্তরবঙ্গের প্রায় সব ট্রেনই দেরিতে ছাড়ছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, আমাদের এখান থেকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার কোনো কারণ নেই। ট্রেনগুলো ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে আসতে বিলম্ব করছে। তাই ট্রেনগুলো ছাড়তেও বিলম্ব করছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। মঙ্গলবার ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনেও কমলাপুরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে দিনের শুরুতে কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে স্টেশনে পৌঁছায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে। আর যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার ও ভোগান্তির কথা।

রেলসূত্র জানিয়েছে, দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে রাজশাহীর উদ্দেশে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ৬টা ৪০ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৮টা ১৫ মিনিট ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি রেলস্টেশন ছাড়ে ৯টা ১০ মিনিটে।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী সাগুফতা আফরোজ বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি। এখনও ট্রেন ছাড়ার কোনো নাম নাই, বিরক্ত লাগছে। মোটামুটি সব ট্রেনই দেরিতে ছাড়ছে। সবাই হৈ চৈ করছে। ট্রেনের টয়লেটও অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর।

ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহরাব হেসেন বলেন, পরিবার নিয়ে ভোরে বাসা থেকে এসেছি। এসে দেখি প্ল্যাটফর্মে কোনো ট্রেনই নাই। এভাবে দীর্ঘ সময় পার করার পর ট্রেন এসেছে। তারপর অপরিষ্কার ট্রেনেই আমাদের উঠতে হয়েছে।

নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা খুবই কষ্টের। ঈদযাত্রার প্রথম দিন দেখলাম ভালোই ছিল। আজ মঙ্গলবার এসে সব এলোমেলো হয়ে গেল। দেখলাম উত্তরবঙ্গের প্রায় সব ট্রেনই দেরিতে ছাড়ছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, আমাদের এখান থেকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার কোনো কারণ নেই। ট্রেনগুলো ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে আসতে বিলম্ব করছে। তাই ট্রেনগুলো ছাড়তেও বিলম্ব করছে।