বিনোদন ডেস্ক :
কণ্ঠশিল্পী অবন্তি সিঁথি বিয়ে করেছেন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে অবন্তির কাছের মানুষ এবং দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, অবন্তি সিঁথির বর অমিত দে লন্ডনে থাকেন এবং সেখানকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। শখের বশে সংগীত চর্চাও করেন অমিত। এই সুবাদে গানে মাধ্যমেই দুজনের পরিচয় হয়।
এ প্রসঙ্গে অবন্তি সিঁথি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের পরিচয়টা গানের মাধমে হলেও বিয়ের ব্যাপারটি পারিবারিকভাবে হয়েছে। পরিচয়ের পর আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। অমিতের ভাবনাচিন্তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। চাকরি করলেও সে একজন সংগীতের মানুষ।
অবন্তি সিঁথি আরও বলেন, মনে মনে এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছি। সৃষ্টিকর্তা আমায় তেমন একজন মানুষকে চলার পথের সঙ্গী করে দিয়েছেন। সবার কাছে আমাদের নতুন জীবনের জন্য আশীর্বাদ চাই।
অমিত দের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে অবন্তি বলেন, বছরখানেক আগে মিথুনদার (গায়ক ও যন্ত্রশিল্পী মিথুন চাক্রা) উদ্যোগে একটি গান তৈরির পরিকল্পনা হয়। সেই গানে কণ্ঠ দেওয়ার কথা ছিল অবন্তি ও অমিতের। এ প্রকল্পের কাজের সূত্রে দুজনের পরিচয়। তারপর লন্ডন-ঢাকা কথাবার্তা হয়। এরপর পুরো ব্যাপারটি পারিবারিকভাবে এগিয়েছে।
২০০৬ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ প্রতিযোগিতায় নিজের নাম লেখালেও সেবার খুব বেশি দূর যেতে পারেননি অবন্তি। এরপর ২০১২ সালে আবারও নাম লেখান এবং সেরা দশে জায়গা করে নেন। তবে পরিচিতি পান জি বাংলার সংগীতবিষয়ক রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে।
জানা গেছে, অমিত দে লন্ডনে বসবাস করলেও সিলেটে তার বাড়ি। অমিত প্রায় ১৩ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। সেখানে অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াশোনা শেষ করে এখন একটি ফাইন্যান্স ফার্মে চাকরি করছেন।
অবন্তি সিঁথি নেটওয়ার্কের বাইরে ওয়েব চলচ্চিত্রে রূপকথার জগতে গানের জন্য সেরা গায়িকা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জিতেন। প্লাস্টিকের কাপ, ফয়েল পেপার এবং বিভিন্ন ধাতব মুদ্রা দিয়ে ব্যতিক্রমী বাদ্যযন্ত্র বানিয়ে দারুণ তাল তুলতে পারেন তিনি। এছাড়া কাপ সং-এর সাথে অসাধারণ শিস বাজান। এজন্য সা রে গা মা পার মঞ্চে বিচারকরা তাকে শিসপ্রিয়া উপাধি দিয়েছিলেন।
‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ও ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্মে অবন্তির গাওয়া ‘রূপকথার জগতে’ ও ‘পাখি পাখি মন’ গান দুটি তাঁর পরিচিতি আরও এগিয়ে দেয়।