Dhaka রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমান মাইলস্টোনে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল : হাসনাত আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : 

বিমান মাইলস্টোন স্কুলে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধি দলের বিসিএস পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সচিবালয় এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র ও গুণ্ডামির আস্তানা হয়ে উঠেছে, যেখানে আমাদের সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্যই করা হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা লাল ফিতার জটিলতা ও প্রভাবের শৃঙ্খল থেকে কখনোই মুক্তি পাবে না। এটি আমাদের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্য।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় যারা বর্তমানে আমলা রয়েছেন তারা বাস্তবতা ধারণ করতে পারছেন না। সময়কে পড়তে পারছেন না। সময়ের প্রয়োজন যদি আপনি পড়তে না পারেন, আপনি যদি মান্ধাতার আমলের সিস্টেমকে বলবৎ করার জন্য পশ্চাৎপদতা থাকে, তাহলে এ সময়কে আপনি কখনওই ধারণ করতে পারবেন না। আর আপনি যদি যুগকে ধারণ করতে না পারেন, তাহলে এই যুগে আমরা যারা আছি তাদের ক্রোধ অবশ্যই বিস্ফোরিত হবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, পিএসসি চায় আর্থিক অটোনমি, পিএসসি চায় ফাংশনাল অটোনমি, আর আমরা দেখি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব জায়গায় এক ধরনের গুন্ডামি। সব জায়গায়। এরা একটা গুণ্ডামি চালায়, সব কিছুতে। প্রত্যেকটা ফাইল ওখানে দিন শেষে আটকায় দেয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এসব জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কারের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল সেটির মধ্যে আমার এক ধরনের অনীহা পেয়েছি। আর এ ফাইলও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লেজুড় বৃত্তি, এই টেবিল থেকে ওই টেবিল, এটাও ছয় মাস লেগে যাবে।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত, পোস্টিং প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত। ৫ অগাস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে তা আমলারা।

হাসনাত বলেন, কিন্তু আমরা দেখতে পেরেছি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোট বুকের মধ্যে প্রায়োরিটি লিস্টের মধ্যেই নেই।

অনেক আমলা নিজেরাই নিজেদের দুইটা তিনটা ‘পদোন্নতি দিয়েছেন’ অভিযোগ তুলে এনসিপি নেতা বলেন, কিন্তু তাদের নোটবুকে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কোন পরিকল্পনা নাই।

চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা তুলে ধরে হাসনাত বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জুন মাসের ১৯ তারিখ ৪৩০টি পদের রিকুইজিশন দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল, যেটা ৪৪-এর জন্য। কিন্তু এর মধ্যে ৪৪ এর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, আবার পুনরায় ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু সচিবালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত ৫ মাস সময় চলে গেছে। বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

সচিবালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চিন্তা করেন কী পরিমাণ সনাতনী চিন্তা ভাবনা, মধ্যযুগীয় চিন্তা ভাবনা- ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে তারা চিঠি পাঠায়। এই চিঠিটা প্রথমে জিপিওতে যায়, ২০১ থেকে ২০২ নম্বরে একটা রিক্যুজিশন দিবে, ধরেন ময়লার ঝুড়ি কিনবে, তখন একটা চিঠি পাঠাবে। এটা যাবে জিপিওতে, জিপিওতে আসবে ২০২ নম্বর রুমে। সেখানে অ্যাপ্রুভ হবে। ২০২ নম্বর রুম এটা আবার জিপিওতে পাঠাবে। জিপিও আবার ২০১ নম্বরে পাঠাবে। অথচ তাদের সঙ্গে তাদের চা খেতে দেখা হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে বাদাম, ফল খেতেও দেখা হচ্ছে, নিয়মিত দেখা হচ্ছে, সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হচ্ছে, একসঙ্গে ব্যবসাপাতি করছে, একসঙ্গে পারসেন্ট ভাগাভাগিও করছে। সবই করছে কিন্তু কাজ করার ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলো।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা আমাদের পাল্টাইতে হবে। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, কিছুদিন আগে খুবই দুঃখজনক ঘটনা মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছে, ওইটা মাইলস্টোনে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল।

তিনি বলেন, এ সচিবালয়ে সবচেয়ে বড় গুন্ডামি, সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র, যারা আমাদের মানুষ মনে করে না। তবে এটা আমাদের আশার বিষয় সচিবালয়ে অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা অনেক বেশি স্মার্ট, আধুনিক, যারা পরিবর্তন আনতে চায়। কিন্তু কিছু পশ্চাৎপদ অফিসার রয়েছে, আমলা রয়েছে। একজন সচিব বলছে উনি বাটন ফোন ব্যবহার করেন। আপনি চিন্তা করেন, এই যুগে এসেও উনি বাটন ফোন ব্যবহার করেন। এই যুগে এসেও একজন মানুষ বাটন ফোন ব্যবহার করেন। এটাকে এন্টারটেইন করার কিছু নেই। এটাকে অযোগ্যতা হিসেবে আমাদের বিবেচনা করতে হবে।

রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। রাজনীতিবিদরা নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি, পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত। এখানে অনেক চাকরি প্রার্থী আছেন। এটা রূঢ় বাস্তবতা। আপনারা শুধু সংখ্যায় মেটার করেন। কোনো একটা আন্দোলন হোক তখন আপনারা নামবেন। একজন রাজনীতিবিদ এসে সামনে দাঁড়াবে, তখন ওই রাজনীতিবিদের পোর্টফোলিও ভারী হবে। যে আমার পেছনে অনেক মানুষ জন আছে।

বিসিএসের বিষয়ে পিএসসির তরফ থেকে আন্তরিকতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাকরি বিধি সংশোধন প্রয়োজন। যার এখতিয়ার রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে।

এর আগে সকালে চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা করতে পিএসসিতে আসেন হাসনাত আবদুল্লাহ, দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। এনসিপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পিএসসির কাছে ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমান মাইলস্টোনে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল : হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক  : 

বিমান মাইলস্টোন স্কুলে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধি দলের বিসিএস পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সচিবালয় এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র ও গুণ্ডামির আস্তানা হয়ে উঠেছে, যেখানে আমাদের সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্যই করা হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা লাল ফিতার জটিলতা ও প্রভাবের শৃঙ্খল থেকে কখনোই মুক্তি পাবে না। এটি আমাদের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্য।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় যারা বর্তমানে আমলা রয়েছেন তারা বাস্তবতা ধারণ করতে পারছেন না। সময়কে পড়তে পারছেন না। সময়ের প্রয়োজন যদি আপনি পড়তে না পারেন, আপনি যদি মান্ধাতার আমলের সিস্টেমকে বলবৎ করার জন্য পশ্চাৎপদতা থাকে, তাহলে এ সময়কে আপনি কখনওই ধারণ করতে পারবেন না। আর আপনি যদি যুগকে ধারণ করতে না পারেন, তাহলে এই যুগে আমরা যারা আছি তাদের ক্রোধ অবশ্যই বিস্ফোরিত হবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, পিএসসি চায় আর্থিক অটোনমি, পিএসসি চায় ফাংশনাল অটোনমি, আর আমরা দেখি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব জায়গায় এক ধরনের গুন্ডামি। সব জায়গায়। এরা একটা গুণ্ডামি চালায়, সব কিছুতে। প্রত্যেকটা ফাইল ওখানে দিন শেষে আটকায় দেয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এসব জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কারের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল সেটির মধ্যে আমার এক ধরনের অনীহা পেয়েছি। আর এ ফাইলও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লেজুড় বৃত্তি, এই টেবিল থেকে ওই টেবিল, এটাও ছয় মাস লেগে যাবে।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত, পোস্টিং প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত। ৫ অগাস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে তা আমলারা।

হাসনাত বলেন, কিন্তু আমরা দেখতে পেরেছি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোট বুকের মধ্যে প্রায়োরিটি লিস্টের মধ্যেই নেই।

অনেক আমলা নিজেরাই নিজেদের দুইটা তিনটা ‘পদোন্নতি দিয়েছেন’ অভিযোগ তুলে এনসিপি নেতা বলেন, কিন্তু তাদের নোটবুকে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কোন পরিকল্পনা নাই।

চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা তুলে ধরে হাসনাত বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জুন মাসের ১৯ তারিখ ৪৩০টি পদের রিকুইজিশন দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল, যেটা ৪৪-এর জন্য। কিন্তু এর মধ্যে ৪৪ এর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, আবার পুনরায় ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু সচিবালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত ৫ মাস সময় চলে গেছে। বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

সচিবালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, চিন্তা করেন কী পরিমাণ সনাতনী চিন্তা ভাবনা, মধ্যযুগীয় চিন্তা ভাবনা- ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে তারা চিঠি পাঠায়। এই চিঠিটা প্রথমে জিপিওতে যায়, ২০১ থেকে ২০২ নম্বরে একটা রিক্যুজিশন দিবে, ধরেন ময়লার ঝুড়ি কিনবে, তখন একটা চিঠি পাঠাবে। এটা যাবে জিপিওতে, জিপিওতে আসবে ২০২ নম্বর রুমে। সেখানে অ্যাপ্রুভ হবে। ২০২ নম্বর রুম এটা আবার জিপিওতে পাঠাবে। জিপিও আবার ২০১ নম্বরে পাঠাবে। অথচ তাদের সঙ্গে তাদের চা খেতে দেখা হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে বাদাম, ফল খেতেও দেখা হচ্ছে, নিয়মিত দেখা হচ্ছে, সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হচ্ছে, একসঙ্গে ব্যবসাপাতি করছে, একসঙ্গে পারসেন্ট ভাগাভাগিও করছে। সবই করছে কিন্তু কাজ করার ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলো।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা আমাদের পাল্টাইতে হবে। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, কিছুদিন আগে খুবই দুঃখজনক ঘটনা মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছে, ওইটা মাইলস্টোনে না পড়ে সচিবালয়ে পড়া উচিত ছিল।

তিনি বলেন, এ সচিবালয়ে সবচেয়ে বড় গুন্ডামি, সবচেয়ে বড় স্বৈরতন্ত্র, যারা আমাদের মানুষ মনে করে না। তবে এটা আমাদের আশার বিষয় সচিবালয়ে অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা অনেক বেশি স্মার্ট, আধুনিক, যারা পরিবর্তন আনতে চায়। কিন্তু কিছু পশ্চাৎপদ অফিসার রয়েছে, আমলা রয়েছে। একজন সচিব বলছে উনি বাটন ফোন ব্যবহার করেন। আপনি চিন্তা করেন, এই যুগে এসেও উনি বাটন ফোন ব্যবহার করেন। এই যুগে এসেও একজন মানুষ বাটন ফোন ব্যবহার করেন। এটাকে এন্টারটেইন করার কিছু নেই। এটাকে অযোগ্যতা হিসেবে আমাদের বিবেচনা করতে হবে।

রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। রাজনীতিবিদরা নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি, পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত। এখানে অনেক চাকরি প্রার্থী আছেন। এটা রূঢ় বাস্তবতা। আপনারা শুধু সংখ্যায় মেটার করেন। কোনো একটা আন্দোলন হোক তখন আপনারা নামবেন। একজন রাজনীতিবিদ এসে সামনে দাঁড়াবে, তখন ওই রাজনীতিবিদের পোর্টফোলিও ভারী হবে। যে আমার পেছনে অনেক মানুষ জন আছে।

বিসিএসের বিষয়ে পিএসসির তরফ থেকে আন্তরিকতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাকরি বিধি সংশোধন প্রয়োজন। যার এখতিয়ার রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে।

এর আগে সকালে চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা করতে পিএসসিতে আসেন হাসনাত আবদুল্লাহ, দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। এনসিপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পিএসসির কাছে ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।