বিনোদন ডেস্ক :
সম্প্রতি সৌদি প্রবাসী মো. শাহ আলম নামে একজন যাত্রীর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকে। এতে ওই যাত্রী তার সৌদি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, সৌদি এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত যাত্রার সময় ছিল দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট। আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী ১১টা ২৫ মিনিটে চেক ইন কাউন্টার ক্লোজ হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সেবার কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ৫ মিনিট পর সাড়ে ১১টায় কাউন্টার ক্লোজ করে।
ওই যাত্রী মো. শাহ আলম ঢাকায় থেকে রিয়াদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ১১টা ২৮ মিনিটে হেভি লাগেজ গেট-১ দিয়ে প্রবেশ করেন এবং ১১টা ৩১ মিনিটে চেক-ইন কাউন্টারে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে সৌদি এয়ারলাইন্স তাকে জানায়, ফ্লাইটের লোড কনফার্ম করা হয়ে গেছে তাই যাত্রীর চেকিং সম্ভব নয়। পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য টিকিট রি-শিডিউল করতে সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসে পাঠান।
বেবিচক জানায়, সৌদি এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী রি-শিডিউলের ক্ষেত্রে ৮০০ রিয়াল এবং নতুন সিটের জন্য খালি থাকা সাপেক্ষে সিটের শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ওই যাত্রীর কাছে ৩৩ হাজার টাকা টিকিট রি শিডিউলিং চার্জ হিসেবে চাওয়া হয়। পরবর্তীতে সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিস থেকে ওই যাত্রী ১১টা ৪২ মিনিটে বের হয়ে কাউন্টারে এসে ভিডিও শুরু করেন। এ সময় কাউন্টারের সামনে হট্টগোল শুরু হয়।
যাত্রী মো. শাহ আলম উত্তেজিত হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এভসেক সদস্যরা যাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর এভসেক সদস্য এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় ৩৪ হাজার ৩৩২ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে সেই যাত্রী ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সৌদির টিকিট রি- শিডিউল করেন। পরে এদিন দুপুরে তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বিনোদন ডেস্ক 






















