নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ডা ডিভাস’র এনামুল হক খান। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। দোলন এর আগেও বাজুসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাজুসের বর্তমান সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
২০২৩ সালে এপ্রিলে বর্তমান বাজুস কমিটি এনামুল হক খান দোলনকে বাজুসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সব পদ থেকে বহিষ্কার করে। দোলন বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তার বহিষ্কার আদেশ তুলে নিয়ে সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয় বাজুস। পরে সমঝোতার মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এনামুল হক খান দোলনকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতির পাশাপাশি একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।
২০২৫-২০২৭ মেয়াদের সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়ার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.)-এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড এন্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।
পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- দি মিলন জুয়েলার্স-এর মো. মিলন মিয়া, নীতাঞ্জলী জুয়েলার্স-এর পবন কুমার আগারওয়াল, নিউ আল ইসলাম জুয়েলার্স-এর তানভীর রহমান, নিউ সোনার তরী জুয়েলার্স-এর মো. লিটন হাওলাদার, মেসার্স লিলি জুয়েলার্স-এর বাবলু দত্ত, গৌরস জুয়েলার্স-এর গণেশ দেবনাথ, দি মুক্তা জুয়েলার্স-এর আশিস কুমার মন্ডল, ডায়মন্ড সিলেকশন-এর মিজানুর রহমান, বিপুল জুয়েলার্স-এর বিকাশ ঘোষ, কুঞ্জ জুয়েলার্স-এর সুশান্ত চন্দ্র দে, মেসার্স আলভী জুয়েলার্স-মোস্তফা কালাম, নিউ সানন্দা জুয়েলার্স-এর ধনরঞ্জন সাহা (বিপুল), ডি ডামাস দি আর্ট অফ জুয়েলারি শ্রীবাস রায়, ড্রিম ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি মো. আলী হোসেন, রিজভী জুয়েলার্স-এর মো. রুবেল, আনন্দ জুয়েলার্স-এর মো. নয়ন চৌধুরী, রিয়া জুয়েলার্সের মো. ছালাম, এস জি এল ল্যাবে বাংলাদেশ-এর ফাহাদ কামাল লিংকন, আফতাব জুয়েলার্স-এর গৌতম ঘোষ, মেসার্স মানি মালা জুয়েলার্স-এর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, পরমা জুয়েলার্স -এর মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, রোজ জুয়েলার্স-এর মো. নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আশরাফ জুয়েলার্স-এর মো. রফিকুল ইসলাম, ট্রাস্ট গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড (প্রা.) লিমিটেড-এর সৌমেন সাহা, দি মদিনা জুয়েলার্স-এর আককাছ আলী, রিগেল স্কাই গোল্ড অ্যান্ড জুয়েলারির মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, আল বারাকা জুয়েলার্স-২ এর শাওন আহম্মেদ চৌধুরী আদর জুয়েলার্সের মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং আমন্ত্রণ জুয়েলার্স-এর পলাশ কুমার সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের নতুন নির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এত কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না।
তিনি বলেন, মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারি না। যারা চোরাকারবারি করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারিতে জড়াবে না।
তিনি আরো বলেন, যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















