বিনোদন ডেস্ক :
‘তুফান’ -এর টিজার দেখেই অনেকে ধারণা করেছিলেন দেশে এর আগে এরকম সিনেমা হয়নি। প্রকাশিত গানেও শতভাগ ধারাবাহিকতা ছিল। ফলে সিনেমাপ্রেমীরা আগ্রহী হয়ে ওঠেন ছবিটি নিয়ে। শাকিবিয়ানরা তো ঈদ উৎসব ‘তুফান’ দিয়ে রাঙাবে বলে মনস্থির করেন।
এদিকে ‘তুফান’ চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি সম্পাদনার টেবিল পেরিয়ে জমা হয় সেন্সর বোর্ডের প্রদর্শনীর জন্য। পূর্ব নির্ধারিত ০৪-০৬-২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় শো শেষে বিনাকর্তনে ছাড়পত্র প্রদানে সম্মত হয় বিজ্ঞ বোর্ড। বুধবার (৫ জুন) বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ‘তুফান’ টিমের সবাই।
রায়হান রাফী যেন একের পর এক ম্যাজিক দেখিয়ে চলেছেন। গান ছেড়ে তুলকালাম বাধিয়ে অনেকটা চোখের পলকে ছাড়পত্রও হাতে নিয়ে নিলেন ‘তুফান’-এর। যেন ঝড়ের গতিতে সব শেষ করে হাত-মুখ ধুয়ে আরাম করছেন নির্মাতা!
৫ জুন ‘তুফান’র আনকাট ছাড়পত্র হাতে পেয়েছেন নির্মাতা। এখন চলছে মুক্তির আগে প্রমোশন পরিকল্পনা।
ছাড়পত্র হাতে পেয়ে কেমন লাগছে? জবাবে রাফী বললেন, খুব ভালো। টানা যে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, সেটার একটা ভালো ফলাফল হচ্ছে এই ছাড়পত্র। মাঠের যুদ্ধটা আপাতত শেষ। এবার শুরু করবো হলের যুদ্ধ। আল্লাহ ভরসা।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তুফান সিনেমা নিয়ে যে উন্মাদনা সাধারণ দর্শক, হল মালিকদের মধ্যে এটা আশার সঞ্চার করে। আমি ধন্যবাদ জানতে চাই সেন্সর বোর্ডকে। সেইসঙ্গে বোর্ডের সকল মেম্বারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিএফডিসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে। কৃতজ্ঞতা ডিজিটাল পার্টনার চরকি ও ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিটর এসভিএফ এর প্রতি।’
ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের তিনটি বড় প্রতিষ্ঠান- আলফা আই, চরকি ও এসভিএফ (কলকাতা)।
এতে শাকিবের সঙ্গে আছেন কলকাতার মিমি ও ঢাকার নাবিলা। এরমধ্যে ‘লাগে উরাধুরা’ গান প্রকাশ করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন শাকিব-মিমি। টের পাওয়া যাচ্ছে, ছবিটি শাকিব খান ও রায়হান রাফীর নিজস্ব সফলতার সবগুলোই অতিক্রম করবে।
শাকিব খানের স্বপ্ন, একদিন তার সিনেমাও শত কোটি টাকা আয় করবে। সে বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘আমরা কিন্তু অধীর আগ্রহে বসে আছি, ১০০ কোটির ক্লাবে কবে যাবো। ওই দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের সিনেমার জন্য ১০০ কোটি টাকাও কম মনে হবে। উত্তর আমেরিকায় বাংলা সিনেমার প্রায় ২৫-৩০ লাখ দর্শকের একটা বাজার তৈরি হয়ে আছে। বাকি ছিল দুই ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয়ে কাজ করা। এবার সেটাও হলো।’
ঢালিউড কর্তার প্রত্যাশা, ‘তুফান’ তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।
এদিকে মৃদুভাষী রাফী বললেন, ‘এতটুকু বলতে পারি, দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের ছবি এটা। ইনশাআল্লাহ, ছবিটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।’