নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ ও পানিতে ভর্তুকি থেকে সরে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অন্য খাতগুলোতেও ভর্তুকি কমাতে বলেছেন। বিদ্যুৎ ও পানির দাম গ্রাহকের আয় ও এলাকা অনুযায়ী নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি মন্ত্রী, আমি পানি বিদ্যুতে যে ভর্তুকি পাই- একই ভর্তুকি যদি একজন দিনমজুর পান তাহলে এটা ঠিক হলো না। তাই প্রধানমন্ত্রী এরিয়া ও ইনকাম ওয়াইজ (এলাকা ও আয়ের ওপর নির্ভর করে) পানি-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন ভর্তুকি যেন বিচারসম্মত হয়। আমি যে রেট দিচ্ছি, একজন নিম্ন শ্রেণির (নিম্ন আয়ের) মানুষও একই ভর্তুকি দিচ্ছে- এটা হয় না। ধীরে ধীরে ভর্তুকির ধারণা থেকে বের হতে হবে। এলাকাভিত্তিক পানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে উঁচু ভবন নির্মাণে সতর্ক থাকতে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উঁচু ভবনের কারণে বিমান চলাচলে যেন এয়ার ফানেল তৈরি না হয়। এছাড়া, মহাসড়কের সংস্কারের জন্য টোল আদায় করে তহবিল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি রাস্তার পাশে জলাধার রাখতে হবে।
সভায় দেশব্যাপী সর্বজনীন পেনশন আরও জোরালো প্রচারের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সভায় ৩৬ টি এবং টেবিলে ৯টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে একটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।