Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশিরা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা গ্রহণ করেনি : তথ্যমন্ত্রী

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশিরা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা গ্রহণ করেনি। তাই তারা এখন বিদেশিদের কাছে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো কাজ হবে না। আপনারা কথায় কথায় ভারতকে গালি দেবেন। তাহলে বিদেশিরা কেন আপনাদের সমর্থন দেবে?

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রধান কুশীলব দুজন-একজন খন্দকার মোশতাক, অন্যজন জিয়াউর রহমান। সকালে জিয়া সেভ করছিলেন। এতো সকালে তিনি কোথায় যাওয়ার জন্য সেভ করছিলেন? হত্যার মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের উত্থান। জিয়া ঘটিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট, আর তার ছেলে তারেক ঘটিয়েছে ২১ আগস্ট।

সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক কোটি মানুষ ভারতে শরনার্থী, দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে যেত। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাই সব কিছুই থমকে গিয়েছিল। বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, এই হত্যার ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। তবে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া বিএনপি জামায়াতের পছন্দ না। তারা টেনেহিঁচড়ে আমাদের নামাতে চায়।

শোক সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আদিবা আনজুম মিতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

বিদেশিরা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা গ্রহণ করেনি : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশিরা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা গ্রহণ করেনি। তাই তারা এখন বিদেশিদের কাছে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশিদের কাছে গিয়ে কোনো কাজ হবে না। আপনারা কথায় কথায় ভারতকে গালি দেবেন। তাহলে বিদেশিরা কেন আপনাদের সমর্থন দেবে?

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী মনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রধান কুশীলব দুজন-একজন খন্দকার মোশতাক, অন্যজন জিয়াউর রহমান। সকালে জিয়া সেভ করছিলেন। এতো সকালে তিনি কোথায় যাওয়ার জন্য সেভ করছিলেন? হত্যার মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের উত্থান। জিয়া ঘটিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট, আর তার ছেলে তারেক ঘটিয়েছে ২১ আগস্ট।

সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এক কোটি মানুষ ভারতে শরনার্থী, দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে যেত। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাই সব কিছুই থমকে গিয়েছিল। বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, এই হত্যার ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা। তবে তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার দেশে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বদলে গেছে। তবে বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া বিএনপি জামায়াতের পছন্দ না। তারা টেনেহিঁচড়ে আমাদের নামাতে চায়।

শোক সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আদিবা আনজুম মিতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।