Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশিরা অংশগ্রহণমূলক নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পশ্চিমা প্রতিনিধিরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলেননি। এটি বলেছে। ভিসানীতি আসবে—এমন কোনও উক্তি করেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময়ের আগে এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা সবাই নির্বাচনের জন্য আসছেন, তা নয়। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তারা আসার আগে বিএনপি অপপ্রচারের মাধ্যমে ধারণাটি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যে এবার আর সরকারের উপায় নাই, তারা সরকারকে বিপদে ফেলবে, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। তারা হয়তো সরকারকে বলবে, এভাবে নির্বাচন করো, পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে—জনমনে সেই ধারণা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে? শেষ পর্যন্ত কি হলো? তারা মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা বলেছে। ভিসা নীতি আসবে, এ ধরনের কোনো উক্তি তারা করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তারা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।

বিএনপি ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে বিদেশিদের পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা এদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সবাই একমত যে, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করবো।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁক-ডাক দিল, নেতাকর্মীদের বুঝাতে চাইলো, এবার সরকার পতন। এবার তারা পদযাত্রায় গেলো। তাদের যে শক্তি সমাবেশ দরকার, তা তারা করতে পারছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে, এর কৃতিত্ব পুরোটা একজন ব্যক্তির। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীদলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। দল অনুযায়ী আমরা, আমাদের সংগঠনগুলো আগের তুলনায় অনেক সংগঠিত হয়েছে। নিজেরা নিজেদের যে শক্তি আছে, তা নিয়ে সমাবেশ করছে।

বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বিএনপি জানে না তাদের দফা কয়টা— দল কয়টা, তাও জানে না। একবার দেখলাম ৫৪টা, আবার দেখলাম ৩২টা। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৭ দল। তারা ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের তোড়জোড় করছে। বাস্তবতা হলো গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তাদের কতটা অবনতি হয়েছে, তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।

বিএনপির ‘সরকার পতনের’ একদফা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা হাঁক-ডাক দিয়ে নেতাকর্মীদের বুঝাতে চেয়েছে এবার সরকার পতন। কিন্তু তারা গেছে পদযাত্রায়। তারা সেভাবে শক্ত সমাবেশ করতে পারছে না। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীরা ভয় পায়।

কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সে ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণঅভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা- গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।

গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যেটুকু পাবো, আপনারা আমাদের সেটা দিবেন। আমরা বাড়তি কিছু চাই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকা শহর তারা ঘিরে ফেলবে, আমরা পালাবার পথ পাব না। পরে দেখা গেলো গোলাপবাগের গরুর হাটে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এসব কর্মসূচি সম্পৃক্ত করা হয়েছে সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে। আগস্টে শোকের মাসের কর্মসূচির বিষয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যাপকভাবে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ হবে।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাস নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সাথে রাজপথে আছি, থাকব। এটা হলো অভিন্ন কর্মসূচি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।

সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কারও কোনো প্রকার খারাপ আচরণের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়, এটা আপনাদের বলে দেওয়া প্রয়োজন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমন কিছু করব না, যাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধানের তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সবাইকে ঐক্য ধরে রাখার তাগিদ দেন তিনি।

আগামী ১৮ জুলাই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এদিন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাত রাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা করবে৷ এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে যেন মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বিদেশিরা অংশগ্রহণমূলক নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পশ্চিমা প্রতিনিধিরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলেননি। এটি বলেছে। ভিসানীতি আসবে—এমন কোনও উক্তি করেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময়ের আগে এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা সবাই নির্বাচনের জন্য আসছেন, তা নয়। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তারা আসার আগে বিএনপি অপপ্রচারের মাধ্যমে ধারণাটি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যে এবার আর সরকারের উপায় নাই, তারা সরকারকে বিপদে ফেলবে, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। তারা হয়তো সরকারকে বলবে, এভাবে নির্বাচন করো, পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে—জনমনে সেই ধারণা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে? শেষ পর্যন্ত কি হলো? তারা মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা বলেছে। ভিসা নীতি আসবে, এ ধরনের কোনো উক্তি তারা করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তারা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।

বিএনপি ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে বিদেশিদের পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা এদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সবাই একমত যে, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করবো।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁক-ডাক দিল, নেতাকর্মীদের বুঝাতে চাইলো, এবার সরকার পতন। এবার তারা পদযাত্রায় গেলো। তাদের যে শক্তি সমাবেশ দরকার, তা তারা করতে পারছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে, এর কৃতিত্ব পুরোটা একজন ব্যক্তির। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীদলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। দল অনুযায়ী আমরা, আমাদের সংগঠনগুলো আগের তুলনায় অনেক সংগঠিত হয়েছে। নিজেরা নিজেদের যে শক্তি আছে, তা নিয়ে সমাবেশ করছে।

বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বিএনপি জানে না তাদের দফা কয়টা— দল কয়টা, তাও জানে না। একবার দেখলাম ৫৪টা, আবার দেখলাম ৩২টা। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৭ দল। তারা ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের তোড়জোড় করছে। বাস্তবতা হলো গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তাদের কতটা অবনতি হয়েছে, তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।

বিএনপির ‘সরকার পতনের’ একদফা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা হাঁক-ডাক দিয়ে নেতাকর্মীদের বুঝাতে চেয়েছে এবার সরকার পতন। কিন্তু তারা গেছে পদযাত্রায়। তারা সেভাবে শক্ত সমাবেশ করতে পারছে না। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীরা ভয় পায়।

কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সে ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণঅভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা- গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।

গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যেটুকু পাবো, আপনারা আমাদের সেটা দিবেন। আমরা বাড়তি কিছু চাই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকা শহর তারা ঘিরে ফেলবে, আমরা পালাবার পথ পাব না। পরে দেখা গেলো গোলাপবাগের গরুর হাটে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এসব কর্মসূচি সম্পৃক্ত করা হয়েছে সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে। আগস্টে শোকের মাসের কর্মসূচির বিষয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যাপকভাবে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ হবে।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাস নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সাথে রাজপথে আছি, থাকব। এটা হলো অভিন্ন কর্মসূচি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।

সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কারও কোনো প্রকার খারাপ আচরণের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়, এটা আপনাদের বলে দেওয়া প্রয়োজন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমন কিছু করব না, যাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধানের তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সবাইকে ঐক্য ধরে রাখার তাগিদ দেন তিনি।

আগামী ১৮ জুলাই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এদিন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাত রাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা করবে৷ এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে যেন মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।