Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশিদের দেখানোর জন্যই বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করে না, বিদেশিদের দেখানোর জন্যই তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে নয়, বিদেশিদের কাছে তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্যই এ সমাবেশ তাদের। তবে তাদের এ সমাবেশ কর্মসূচি বিশেষ কোনো গুরুত্ব বহন করে না।

বুধবার (১২ জুলাই) বিএনপির একদফা নিয়ে আন্দোলন করার কথা, রাজধানীতে এ ধরনের আন্দোলন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে কি না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নতুন করে একদফা ঘোষণা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবো না। আমরা অতীতেও দেখেছি, বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় এবং জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেবো না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। আমরাও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবো। জনগণের পাশে থাকবো।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। রাজা-রানির রাজ্যে বাস করতে চাই না। সেই গণতন্ত্র আজ হারিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, আমি সে প্রশ্ন রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি বাবাসহ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন।উনি-তো মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। কয়েক দিন আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল, সে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা বাংলাদেশকে কতটুকু বিশ্বাস করেন, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। তিনি রাজা-রানি বলতে কী খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন কি না, সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল যখন দেশে অবস্থান করছে, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসার কথাও রয়েছে। তার আগে এমন আন্দোলনকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এসময়ে তাদের এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার অর্থই হচ্ছে, তারা আসলে এ কর্মসূচিগুলো জনগণকে দেখাতে চায় না। বিদেশিদের দেখাতে চায়। বিদেশিরা তাদের শক্তি নিয়ে সন্দিহান। তাদের একটু শক্তি দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে। আসলে বিদেশিদের কাছে শক্তি প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের (বিএনপি) যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেটি জনগণের কাছে বলবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের সব কর্মসূচি বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টাপ্রসূত। এটি একটি রাজনৈতিক দলের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে।

আরপিও সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যখন সন্তোষ প্রকাশ করে (আরপিও নিয়ে) তখন আমি সেটির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করি অবশ্যই। আর নির্বাচন কমিশনই বলছে, আরপিও সংশোধন যেভাবে হওয়ার কথা এবং সংসদে যেভাবে পাস হয়েছে সেটা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরাও তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। আমরা প্রত্যাশা করি, নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, সে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে তারা আগামী নির্বাচনকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে পারবে।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

বিদেশিদের দেখানোর জন্যই বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করে না, বিদেশিদের দেখানোর জন্যই তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে নয়, বিদেশিদের কাছে তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্যই এ সমাবেশ তাদের। তবে তাদের এ সমাবেশ কর্মসূচি বিশেষ কোনো গুরুত্ব বহন করে না।

বুধবার (১২ জুলাই) বিএনপির একদফা নিয়ে আন্দোলন করার কথা, রাজধানীতে এ ধরনের আন্দোলন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে কি না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নতুন করে একদফা ঘোষণা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবো না। আমরা অতীতেও দেখেছি, বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় এবং জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেবো না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। আমরাও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবো। জনগণের পাশে থাকবো।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। রাজা-রানির রাজ্যে বাস করতে চাই না। সেই গণতন্ত্র আজ হারিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, আমি সে প্রশ্ন রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি বাবাসহ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন।উনি-তো মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। কয়েক দিন আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল, সে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা বাংলাদেশকে কতটুকু বিশ্বাস করেন, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। তিনি রাজা-রানি বলতে কী খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন কি না, সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল যখন দেশে অবস্থান করছে, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসার কথাও রয়েছে। তার আগে এমন আন্দোলনকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এসময়ে তাদের এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার অর্থই হচ্ছে, তারা আসলে এ কর্মসূচিগুলো জনগণকে দেখাতে চায় না। বিদেশিদের দেখাতে চায়। বিদেশিরা তাদের শক্তি নিয়ে সন্দিহান। তাদের একটু শক্তি দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে। আসলে বিদেশিদের কাছে শক্তি প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের (বিএনপি) যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেটি জনগণের কাছে বলবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের সব কর্মসূচি বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টাপ্রসূত। এটি একটি রাজনৈতিক দলের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে।

আরপিও সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যখন সন্তোষ প্রকাশ করে (আরপিও নিয়ে) তখন আমি সেটির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করি অবশ্যই। আর নির্বাচন কমিশনই বলছে, আরপিও সংশোধন যেভাবে হওয়ার কথা এবং সংসদে যেভাবে পাস হয়েছে সেটা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরাও তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। আমরা প্রত্যাশা করি, নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, সে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে তারা আগামী নির্বাচনকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে পারবে।