নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বিডিআর মার্কেট উচ্ছেদ করা হবে। এখানে বিডিআরের নামে চাঁদাবাজি করা হয়।
বুধবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড (ডিএনসিসির যান্ত্রিক সার্কেল অফিস সংলগ্ন) ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এই বিডিআর মার্কেটের সঙ্গে বিডিআরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। খুব শিগগিরই মার্কেটটি উচ্ছেদ করা হবে।
এ সময় বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ১৯৮৯ সালে সরকার এ এলাকার জমি একর করেন। তখন টাকা সরকার এলএ অফিসে দিয়ে দেন। এ বিষয়ে ঢাকা ডিসি অফিসের এলএ শাখায় টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এখান থেকে টাকা নিয়েছেন। যারা টাকা নিয়েছেন তারাই আবার এখানের জায়গা দখল করে রেখেছেন।
হুঁশিয়ারি জানিয়ে মেয়র বলেন, যারা টাকা নিয়েছেন বা নেন নাই। অবৈধভাবে জায়গা দখল করে রেখেছেন। তাদের সিটি করপোরেশন কোনো বৈধ নোটিশ দেবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, দেশে কাগজ বানাতে সময় লাগে না। আসল জমির কাগজ আমাদের এসিলেন্ড, ডিসি অফিস ও সিটি করপোরেশন দেখবে। সরকার জমি একরের জন্য যে টাকা নির্ধারণ করেছে সে টাকাই দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। ইতিমধ্যে আমরা (উওর সিটি করপোরেশন) ৩০ একর জমি উদ্ধার করতে পেরেছি। যারা স্বেচ্ছায় করপোরেশনে এসে নিজের জমির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই। দেশের মানুষের জন্য, জনগণের জন্য এ ইকো পার্ক প্রয়োজন। এখানে দুই পাশে ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জায়গা আছে। ওগুলো দখলে আছে। এছাড়া মোট রিটেনশন পন্ডের জন্য ১৭৩ একর জমি। এখানের ১১০ একর জমি হচ্ছে বিএডিসির। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পন্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীতকালে এটা হবে বীজতলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, ইকো পার্ক আমার বা কারো একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। আমরা এখানে পূর্ণ খনন কাজ শুরু করেছি। পূর্ণ খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এখানে ৫ টি খাল থেকে পানি আসবে বৃষ্টি ধারন অঞ্চলে (রিটেনশন পন্ডে)। যত বৃষ্টি পড়বে এই রিটেনশন পন্ডে পানি আসবে এর পরে পাম্প করে নিয়ে যাব তুরাগ নদীতে। এলাকাগুলোতে কোন জলাবদ্ধতা হবে না। বাস্তবে এটা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে, মোহাম্মদপুর,মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া পানিতে ডুবে যাবে। ইকোপার্ক যত বেশি বড় হবে এলাকাবাসী তত বেশি সুফল ভোগ করতে পারবেন।