Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারপতি মানিক ফের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশান থানধীন শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, এই আসামি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাকে আটকে দেয়। তিনি কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। যারা তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করা কথা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল তারা সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে হাফপ্যান্ট পড়া ও কলাপাতার ওপর শুয়ে থাকা অবস্থায় জঙ্গলে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রত্যাশা করছি। তবে আসামি মানিকের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নেন সাজিদ। এ সময় আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে গুলশানের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ধামরাইয়ে সাবেক স্ত্রীকে ‘কুপিয়ে হত্যার পর’ যুবকের ‘আত্মহত্যা’

বিচারপতি মানিক ফের রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশান থানধীন শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, এই আসামি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাকে আটকে দেয়। তিনি কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। যারা তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করা কথা দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল তারা সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে হাফপ্যান্ট পড়া ও কলাপাতার ওপর শুয়ে থাকা অবস্থায় জঙ্গলে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রত্যাশা করছি। তবে আসামি মানিকের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নেন সাজিদ। এ সময় আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে গুলশানের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।