Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও বাধার প্রতিবাদে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন তারা। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিকেল সোয়া ৫টায় শাহবাগে জড়ো হন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে স্লোগান দিতে দেখা যায়। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলোকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে নির্বিঘ্নে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে করে দেন।

ফের শাহবাগ অবরোধ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসে পড়েন। এরপর শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক আবু সাইদ বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাই বন্ধুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি কিন্তু পুলিশ সেখানে হামলা করেছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। এর প্রতিবাদেই আজকে আমরা ঢাবিসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৯টায় শাহবাগে বাংলা ব্লকেড শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবারের বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেল ৪টায় সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুনামগঞ্জে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ০৬:০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও বাধার প্রতিবাদে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন তারা। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিকেল সোয়া ৫টায় শাহবাগে জড়ো হন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে স্লোগান দিতে দেখা যায়। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলোকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে নির্বিঘ্নে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে করে দেন।

ফের শাহবাগ অবরোধ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসে পড়েন। এরপর শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক আবু সাইদ বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাই বন্ধুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি কিন্তু পুলিশ সেখানে হামলা করেছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। এর প্রতিবাদেই আজকে আমরা ঢাবিসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৯টায় শাহবাগে বাংলা ব্লকেড শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবারের বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেল ৪টায় সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।