যশোর জেলা প্রতিনিধি :
শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন, বিএনপি হলো নর্দমার কীট। তারা শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ে এসে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। আজকে তারা সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সর্বোচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যক্তি। বিএনপির এসব চোঁখে পড়ে না। বিএনপির তো কোনো যোগ্যতা নেই শিক্ষাঙ্গন নিয়ে কথা বলার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু মানবাধিকারের কথা বলে। যখন ৭১ ও ৭৫ এর খুনিদের সহয়তা করেছে, সেই সময়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) মানবাধিকারের কথা বলেনি। বিএনপি-জামায়াতের কান্নাকাটি দেখলে মনে হয় সারাবিশ্বে একমাত্র মানবাধিকার তাদের আছে। সময় এসেছে আগামী নির্বাচনকে নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ দেশের গণতন্ত্রকে যারা আঘাত করেছে আমার কি তাদের মায়া কান্নায় ভুলব? নাকি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে তারাই মায়া কান্না করছে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় এনেছিল, কারফিউ দিয়ে সরকার চালিয়েছিল। যারা বিচার হতে দেয়নি, যারা হত্যাকারীদের মুক্তি দেয়। আর মানবাধিকারের নামে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী সেই পরাশক্তি।
ডা. দীপু মনি বলেন, এ দেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা উন্নয়ন নাকি ধ্বংস চায়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হলে জনগণকে নৌকার পক্ষেই রায় দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেন, উনারা রাতের অন্ধকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অনুসারীদের দিয়ে উপাচার্যের কক্ষ দখল করেছিলেন। তারা সব কিছু তাদের হিসাব দিয়ে বিবেচনা করেন। যারা নর্দমার কীট, তাদের নজরটাও নর্দমায় থাকে।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এমন আহসান হাবীব।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নিজে রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন। পাশাপাশি ২৮ জন বিশেষজ্ঞসহ ৭০ জন চিকিৎসক সেবা প্রদান করেন। দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে ৩ হাজার রোগী ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। এছাড়া ৫০০ দুস্থ অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।