Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি সরকারকে অচল করার চেষ্টা করলে জনগণই বিএনপিকে অচল করে দিবে : কাদের

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারকে অচল করার চেষ্টা করলে জনগণই বিএনপিকে অচল করে দিবে। বিএনপি আওয়ামী লীগকে শত্রু ভাবে, তাই তাদের সাথে কোনো সমঝোতা হতে পারে না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। জনগণ বিএনপির হাতে আর ক্ষমতা তুলে দেবে না।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর মোড়ে ঢাকার প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফখরুল আর মইন খানের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢাললে তারা বুঝতো কতো ধানে কতো চাল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে-করতে বিএনপির আম-ছালা দুটোই যাবে। এবার আন্দোলনের নামে বিএনপির যেকোনো অপতৎপরতার জবাব দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হয়ে গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এই ভূতে বিএনপি শেষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এই তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন। জ্বালারে জ্বালা অন্তরে জ্বালা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা খাম্বা দিয়েছে বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবেন। এ নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেব। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল বলেন—শেখ হাসিনা ঘোরাঘুরি করেন। শেখ হাসিনা কোথায় গেছেন। জি-২০ সম্মেলনে। কী সম্মান নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন! নিউইয়র্কে গিয়েছেন, কী সম্মান পেয়েছেন! শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওরা গণতন্ত্রের কী জানে? ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে। এবার খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে।

সামনে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলেও আভাস দেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অচিরেই তেল, চাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। তার ওপর আস্থা রাখেন। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।

নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভুল করবেন না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ নারায়ণগঞ্জকে অনেক দিয়েছেন। আশা করি নারায়ণগঞ্জবাসী এর প্রতিদান দেবেন। আগামীতে আরও দেবেন।

তিনি বলেন, খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেছেন ঢাকাকে অচল করে দেবেন। আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষই আগামীতে বিএনপিকে অচল করে দেবে। আগামীতে দেশের মানুষই বিএনপিকে অচল করে দেবে। এ নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট বিএনপিকে রুখে দিতে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়ে দেব। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব।

তিনি বলেন, খেলা তাহলে হবে। বিএনপির হাতে আর সময় নেই। তাদেরকে ৩৬ দিন সময় দিয়েছি। ৩৬ দিন পার হলে দেখি কার গায়ে কত বল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বিএনপি সরকারকে অচল করার চেষ্টা করলে জনগণই বিএনপিকে অচল করে দিবে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারকে অচল করার চেষ্টা করলে জনগণই বিএনপিকে অচল করে দিবে। বিএনপি আওয়ামী লীগকে শত্রু ভাবে, তাই তাদের সাথে কোনো সমঝোতা হতে পারে না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। জনগণ বিএনপির হাতে আর ক্ষমতা তুলে দেবে না।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর মোড়ে ঢাকার প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফখরুল আর মইন খানের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢাললে তারা বুঝতো কতো ধানে কতো চাল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে-করতে বিএনপির আম-ছালা দুটোই যাবে। এবার আন্দোলনের নামে বিএনপির যেকোনো অপতৎপরতার জবাব দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হয়ে গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এই ভূতে বিএনপি শেষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এই তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন। জ্বালারে জ্বালা অন্তরে জ্বালা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা খাম্বা দিয়েছে বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবেন। এ নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেব। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল বলেন—শেখ হাসিনা ঘোরাঘুরি করেন। শেখ হাসিনা কোথায় গেছেন। জি-২০ সম্মেলনে। কী সম্মান নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন! নিউইয়র্কে গিয়েছেন, কী সম্মান পেয়েছেন! শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওরা গণতন্ত্রের কী জানে? ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে। এবার খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে।

সামনে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলেও আভাস দেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অচিরেই তেল, চাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। তার ওপর আস্থা রাখেন। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।

নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভুল করবেন না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ নারায়ণগঞ্জকে অনেক দিয়েছেন। আশা করি নারায়ণগঞ্জবাসী এর প্রতিদান দেবেন। আগামীতে আরও দেবেন।

তিনি বলেন, খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেছেন ঢাকাকে অচল করে দেবেন। আমরা বলতে চাই, দেশের মানুষই আগামীতে বিএনপিকে অচল করে দেবে। আগামীতে দেশের মানুষই বিএনপিকে অচল করে দেবে। এ নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট বিএনপিকে রুখে দিতে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়ে দেব। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব।

তিনি বলেন, খেলা তাহলে হবে। বিএনপির হাতে আর সময় নেই। তাদেরকে ৩৬ দিন সময় দিয়েছি। ৩৬ দিন পার হলে দেখি কার গায়ে কত বল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু প্রমুখ।