Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে : কাদের

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি ভুয়া দল, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হলো পরগাছা। এ পরগাছাকে রাজনীতি থেকে অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে। বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে। কেন বাদ পড়েছে? ফাউল করে। তাদের আর রাজনীতির মাঠে খেলার সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হলো পরগাছা। এই পরগাছাকে বিলুপ্ত করতে হবে।

তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে লন্ডনে বসে দণ্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়। তারেক মনে করেছে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১ সালে অসহযোগ হয়েছে। আজ তারেকের কথায় অসহযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ তারেকের সাথে অসহযোগিতা করবে, অসহযোগ করবে। অসহযোগ করে বিএনপি নামক পরগাছাকে হটিয়ে দেবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মানে না, স্বাধীনতা মানে না। এরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মোশতাক আর জিয়া জেলখানায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিএনপি পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশকে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশের হাসপাতালে হামলা করেছে।

বিএনপির অসহযোগের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে, খাজনা দেবে না, ট্যাক্স দেবে না। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। পল্টনের রাস্তা থেকে পালিয়ে গেল কারা? এক দফা গেল কোথায়? ৫৪ দল কোথায় গেল? ৩২ দফা কোথায় গেল?

এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যদি বাঁচাতে চান, ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনাকে আবারও চাই। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে মানুষ হত্যা করে ঠিক সেইভাবে আন্দোলনের নামে তারা মায়ের বুকে শিশুকে পুড়িয়ে মারে। এরা গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। যারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচনে দলে দলে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে চাই। শেখ হাসিনাকে যারা হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি রক্ষা করতে হয়, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয়, তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনা আবারও চাই। বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে যারা শেখ হাসিনাকে ছোট করে, শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এবারের নির্বাচনে দলে দলে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই– আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে চাই। আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে যার হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব।

নিজ এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কবিরহাট এক সময় অবহেলিত ছিল। এখানে গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামী দিনে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে রক্ষা করতে হলে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলায় জিততে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম এমপি, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি ভুয়া দল, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হলো পরগাছা। এ পরগাছাকে রাজনীতি থেকে অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে। বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে। কেন বাদ পড়েছে? ফাউল করে। তাদের আর রাজনীতির মাঠে খেলার সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হলো পরগাছা। এই পরগাছাকে বিলুপ্ত করতে হবে।

তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে লন্ডনে বসে দণ্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়। তারেক মনে করেছে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১ সালে অসহযোগ হয়েছে। আজ তারেকের কথায় অসহযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ তারেকের সাথে অসহযোগিতা করবে, অসহযোগ করবে। অসহযোগ করে বিএনপি নামক পরগাছাকে হটিয়ে দেবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মানে না, স্বাধীনতা মানে না। এরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মোশতাক আর জিয়া জেলখানায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিএনপি পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশকে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশের হাসপাতালে হামলা করেছে।

বিএনপির অসহযোগের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে, খাজনা দেবে না, ট্যাক্স দেবে না। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। পল্টনের রাস্তা থেকে পালিয়ে গেল কারা? এক দফা গেল কোথায়? ৫৪ দল কোথায় গেল? ৩২ দফা কোথায় গেল?

এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যদি বাঁচাতে চান, ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনাকে আবারও চাই। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে মানুষ হত্যা করে ঠিক সেইভাবে আন্দোলনের নামে তারা মায়ের বুকে শিশুকে পুড়িয়ে মারে। এরা গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। যারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচনে দলে দলে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে চাই। শেখ হাসিনাকে যারা হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি রক্ষা করতে হয়, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয়, তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনা আবারও চাই। বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে যারা শেখ হাসিনাকে ছোট করে, শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এবারের নির্বাচনে দলে দলে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই– আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে চাই। আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে যার হটাতে চায়, আমরা তাদের হটিয়ে দেব।

নিজ এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কবিরহাট এক সময় অবহেলিত ছিল। এখানে গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামী দিনে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে রক্ষা করতে হলে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলায় জিততে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম এমপি, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান প্রমুখ।