চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি ফাউল খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ওরা ফাউল করছে। ওদের লাল কার্ড দেখাতে হবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামের আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠে শুরুতেই ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তখন নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে খেলা হবে খেলা হবে স্লোগান দিতে থাকেন। এইপর্যায়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ চট্টগ্রামেও খেলা হচ্ছে, ঢাকাতেও খেলা হচ্ছে। অস্ত্র পাচারকারী, সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সামনে জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলতে হবে। সবাই প্রস্তুত থাকুন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় মির্জা ফখরুল অপশক্তিকে নিয়ে ফাউল খেলা শুরু করেছে। তারা লাঠিসোটা, চালের বস্তা, আটার বস্তা নিয়ে সাত নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ওরা ফাউল করতেছে, ওদের লাল কার্ড দেখাতে হবে। তারা চাল-ডাল আর আটার বস্তা নিয়ে আসছে, ৭ তারিখ পর্যন্ত নাকি ঢাকায় থাকবে।
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের দুটি নেয়ামত দান করেছেন। একজন বঙ্গবন্ধু, অন্যজন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ যতদিন থাকবে, এ দুজন মানুষ বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। কারণ দেশের জন্য তারা নিজেদের জীবনের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে গেছেন, যাচ্ছেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এ ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।
কাদর বলেন, আবার খারাপ সময় আমাদের এসেছে। বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে আবারও পরাজিত শক্তি। আমীর খসরু ও মির্জা ফখরুলরা মূল কারিগর। এরাই মূল শয়তানি করছে। এত জ্বালা কেনো? টানেল দেখে জ্বালা?
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, পায়রা সেতুসহ একদিনে ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। আপনারা এ সেতু ব্যবহার করেন। পদ্মা সেতু করার সময় কতই না ষড়যন্ত্র ও হাসাহাসি করেছিল তারা। কিন্তু এখন তারা এসব সেতু দিয়েই বাড়ি-ঘরে যায়। কিন্তু তাদের লজ্জা হয় না।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, টানেল দেখে জ্বালা। ভারতে হয়নি, নেপালে হয়নি, শ্রীলঙ্কায় হয়নি। শুধুমাত্র বাংলাদেশে হয়েছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হয়েছে। কে করেছে? শেখ হাসিনা করেছে। যতদিন টানেল থাকবে, ততদিন শেখ হাসিনার নাম থাকবে।
আজকের উন্নয়নের মহাযাত্রায় বিএনপি-জামায়াতের এ আন্দোলন কর্ণফুলিতে ভেসে যাবে। মাতারবাড়িতে কি বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে সেগুলো তাদের চোখে পড়ে না। তারা আছে শুধু মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনে।
তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চাচ্ছে। আর এর নেতৃত্বে আছে চট্টগ্রামের খসরু। আছে ফখরুলরাও। যারা শয়তানদের নেতা। এত জ্বালা, টানেল দেখে জ্বালা। ভারতে হয়নি, নেপালে হয়নি, শ্রীলঙ্কায় হয়নি। হয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে? কে করেছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহত্তর চট্টগ্রামের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে চায়ের দোকানে বসে যারা সমালোচনা করবেন। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার আমলনামা নেত্রীর কাছে আছে। শৃঙ্খলা মানতে হবে। শৃঙ্খলা না মানলে খেলায় জিতবেন না। এটা আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। এতে জিততে হবে। আমাদের বিজয় সুসংহত করতে হবে।
এর আগে বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কেইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন প্রধান অতিথি দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।