Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে, তারা আমাদের শত্রু : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে, তারা আমাদের শত্রু। এই শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, জেলে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। জয় বাংলা, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিল। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতিকে নিষিদ্ধ করেছিল।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এরা দালাল, এদের কারণে গণহত্যার স্বীকৃতি আজও পাইনি। আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা পাইনি। পাকিস্তানি নাগরিকেরা বছরের পর বছর বোঝা হয়ে আছে। কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। পাকিস্তান একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে একবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। দেশটির কোনো সরকারও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বাংলাদেশের কাছে এখনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। যারা পাকিস্তানের দালালি করে, তারা স্বাধীনতার শত্রু।’

তিনি আরও বলেন, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতেগোনা কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের জন্য ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমি জানতে চাই, আজকে দুপুর বেলায় পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? একাত্তরে কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছেন? আমরা জানতে চাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতেগোনা কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের জন্য ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। বিএনপির প্রভু আছে; যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছিল।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে দুপুর বেলায় নয়াপল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে উকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিলো তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাড়িয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রান্নাঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য কোনটা কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান ভারতীয় পণ্য।

বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন রিজভী রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়েছে। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জুটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুজে দেখব?

কাদের আরও বলেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে, তারা আমাদের শত্রু : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে, তারা আমাদের শত্রু। এই শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, জেলে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। জয় বাংলা, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিল। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতিকে নিষিদ্ধ করেছিল।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এরা দালাল, এদের কারণে গণহত্যার স্বীকৃতি আজও পাইনি। আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা পাইনি। পাকিস্তানি নাগরিকেরা বছরের পর বছর বোঝা হয়ে আছে। কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। পাকিস্তান একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে একবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। দেশটির কোনো সরকারও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বাংলাদেশের কাছে এখনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। যারা পাকিস্তানের দালালি করে, তারা স্বাধীনতার শত্রু।’

তিনি আরও বলেন, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতেগোনা কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের জন্য ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমি জানতে চাই, আজকে দুপুর বেলায় পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? একাত্তরে কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছেন? আমরা জানতে চাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতেগোনা কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের জন্য ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। বিএনপির প্রভু আছে; যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছিল।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে দুপুর বেলায় নয়াপল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছে, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে উকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিলো তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাড়িয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রান্নাঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য কোনটা কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান ভারতীয় পণ্য।

বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন রিজভী রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মীরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়েছে। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জুটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুজে দেখব?

কাদের আরও বলেন, দেশটা দালালে ভরে গেছে। এই দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।