Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও পাকিস্তানি কায়দায় ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে। জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। তার পরও বলে ভারত নির্বাচিত করেছে আমাদের। ভারত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতে সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে, সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।

ভারত বয়কটের ডাকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যে মিল নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি অবাক করা দল, বিএনপির এক নেতা বলেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে, আবার আরেক নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। এখন এই দলের নেতায় নেতায় মতের কোনো মিল নেই। মমঈন খানের এক কথা, রিজভীর আরেক কথা। সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল বলেন আরেক কথা। নেতায় নেতায় কথায় মিল নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। এই হলো আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।

তিনি বলেন, ইফতার পার্টি না করে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে নির্দেশ, তা পুরো ঢাকা শহরসহ সারা দেশে অব্যাহত রাখতে হবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট আছে। যদিও কিছু কিছু পণ্যের দাম কমছে, আরও কমবে।

নতুন করে বিএনপির ওপর কোনো দমন-পীড়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, আর বিএনপি ক্ষমতার দল। নিজেদের পকেট উন্নয়নের দল বিএনপি।

বর্তমান বাজারদর নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ইদানিং বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়েছিল, এখন সেটা ৩০/৩৫ /৪০ টাকায় নেমে গেছে। আমার মনে হয়, জিনিসপত্রের দাম আরো কমবে। সাধারণ মানুষের সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা দেশের বাজারকে অস্থির করতে বিএনপির ভারত বিরোধিতার কড়া সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন তারা। এদিন প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বিএনপি পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে: কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৫১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি পাকিস্তানি কায়দায় ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও পাকিস্তানি কায়দায় ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে। জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। তার পরও বলে ভারত নির্বাচিত করেছে আমাদের। ভারত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতে সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে, সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।

ভারত বয়কটের ডাকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যে মিল নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি অবাক করা দল, বিএনপির এক নেতা বলেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে, আবার আরেক নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। এখন এই দলের নেতায় নেতায় মতের কোনো মিল নেই। মমঈন খানের এক কথা, রিজভীর আরেক কথা। সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল বলেন আরেক কথা। নেতায় নেতায় কথায় মিল নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। এই হলো আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।

তিনি বলেন, ইফতার পার্টি না করে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে নির্দেশ, তা পুরো ঢাকা শহরসহ সারা দেশে অব্যাহত রাখতে হবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট আছে। যদিও কিছু কিছু পণ্যের দাম কমছে, আরও কমবে।

নতুন করে বিএনপির ওপর কোনো দমন-পীড়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, আর বিএনপি ক্ষমতার দল। নিজেদের পকেট উন্নয়নের দল বিএনপি।

বর্তমান বাজারদর নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ইদানিং বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়েছিল, এখন সেটা ৩০/৩৫ /৪০ টাকায় নেমে গেছে। আমার মনে হয়, জিনিসপত্রের দাম আরো কমবে। সাধারণ মানুষের সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা দেশের বাজারকে অস্থির করতে বিএনপির ভারত বিরোধিতার কড়া সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন তারা। এদিন প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।