Dhaka শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দুই মামলা স্থগিত

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চলমান দুটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাবেদের আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার।

এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদের নিযুক্ত আইনজীবীরা আদালতে তাদের মক্কেলকে স্বশরীরে হাজির দেখিয়ে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন জানান। মক্কেলকে দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক উল্লেখ করে বলেন, ঘটনা ২০০১ সালে সংঘটিত হলেও চকরিয়া থানায় মামলা করা হয় ২০০৭ সালে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সালাহউদ্দিন আহমদের নামে মামলা দুটি করা হয়। যার কারণে মামলা থেকে বিএনপির এই নেতাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত দুটি মামলা স্থগিত করে সকল আসামিকে খালাস দেন।

আইনজীবী তৌহিদুল বলেন, ঘটনা ২০০১ সালে ঘটলেও চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয় ২০০৭ সালে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। এ কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানাই।

শুনানি শেষে আদালত দুই মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

আদালত থেকে বের হয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় আদালত দীর্ঘ শুনানিতে আমার বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী আবু ছিদ্দিক ওসমানি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এ মামলা দুটিতে সরকার কিংবা বেসরকারি সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। মামলা দুটি অব্যাহত থাকলে অহেতুক আদালতের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। সেই মর্মে মামলা দুটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় সকল আসামিকে অব্যাহিত দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দুটি দায়ের করা হয়। সেই মামলা শুনানি শেষে আদালত আজ তাকে খালাস দিয়েছেন।

২০০১ সালে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মৎস্য ঘের লুটের অভিযোগ এনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করে চকরিয়া থানায় দুটি ঘটনায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চকরিয়া উপজেলার পালাকাটা এলাকার বদিউর রহমান ও বদরখালীর মাহমুদুল হক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের দুই মামলা স্থগিত

প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চলমান দুটি ফৌজদারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাবেদের আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার।

এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদের নিযুক্ত আইনজীবীরা আদালতে তাদের মক্কেলকে স্বশরীরে হাজির দেখিয়ে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন জানান। মক্কেলকে দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক উল্লেখ করে বলেন, ঘটনা ২০০১ সালে সংঘটিত হলেও চকরিয়া থানায় মামলা করা হয় ২০০৭ সালে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সালাহউদ্দিন আহমদের নামে মামলা দুটি করা হয়। যার কারণে মামলা থেকে বিএনপির এই নেতাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত দুটি মামলা স্থগিত করে সকল আসামিকে খালাস দেন।

আইনজীবী তৌহিদুল বলেন, ঘটনা ২০০১ সালে ঘটলেও চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয় ২০০৭ সালে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সালাহউদ্দিন আহমেদের নামে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। এ কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানাই।

শুনানি শেষে আদালত দুই মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

আদালত থেকে বের হয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় আদালত দীর্ঘ শুনানিতে আমার বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী আবু ছিদ্দিক ওসমানি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এ মামলা দুটিতে সরকার কিংবা বেসরকারি সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। মামলা দুটি অব্যাহত থাকলে অহেতুক আদালতের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে। সেই মর্মে মামলা দুটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় সকল আসামিকে অব্যাহিত দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দুটি দায়ের করা হয়। সেই মামলা শুনানি শেষে আদালত আজ তাকে খালাস দিয়েছেন।

২০০১ সালে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মৎস্য ঘের লুটের অভিযোগ এনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করে চকরিয়া থানায় দুটি ঘটনায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চকরিয়া উপজেলার পালাকাটা এলাকার বদিউর রহমান ও বদরখালীর মাহমুদুল হক।