Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা এ্যানিকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পর গ্রেফতার দেখালো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন এ্যানির বাসায় গিয়ে তাকে ধানমন্ডি থানায় যেতে বলে পুলিশ। এ সময় বাসার দরজা না খোলায় তালা ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করে পুলিশ। এক পর্যায়ে এ্যানিকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ওসি মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ধানমন্ডি থানার ২৫ নম্বর মামলায় এ্যানিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় তিনি এজহারনামীয় ২৯ নম্বর আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

আটকের আগে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ দরজায় লাথি মারছে। হুমকি দিচ্ছে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। বর্তমানে আমি সব মামলায় জামিনে আছি, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এর আগে রাত ২টার দিকে বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন জানান, পুলিশ এ্যানির ধানমন্ডির বাসা ঘিরে ফেলেছে। তাকে থানায় যেতে বলা হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বরাত দিয়ে স্বপন আরো জানান, রাত দেড়টায় পুলিশ তার বাসার চারপাশে অবস্থান নেয়।

সর্বশেষ বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন রাত ৩টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ধানমন্ডি থানায় গিয়েছেন। সেখানে এ্যনিকে আটকের পর থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব মামলায় জামিনে থাকার পরও এ্যানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গভীর রাতে তাকে ডাকাতের মতো পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এসব করে সরকার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। এভাবে গভীর রাতে কোনো নাগরিককে পুলিশ তুলে নিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড। আমি এর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এ্যানির মুক্তি দাবি করছি।

এদিকে বিএনপি নেতা এ্যানিকে তার বাসভবন ঘেরাও, পরবর্তী থানায় তুলে নেওয়া এবং বিনা কারণে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপেশাদার আচরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

আবহাওয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

বিএনপি নেতা এ্যানিকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পর গ্রেফতার দেখালো পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন এ্যানির বাসায় গিয়ে তাকে ধানমন্ডি থানায় যেতে বলে পুলিশ। এ সময় বাসার দরজা না খোলায় তালা ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করে পুলিশ। এক পর্যায়ে এ্যানিকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ওসি মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ধানমন্ডি থানার ২৫ নম্বর মামলায় এ্যানিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় তিনি এজহারনামীয় ২৯ নম্বর আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

আটকের আগে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ দরজায় লাথি মারছে। হুমকি দিচ্ছে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। বর্তমানে আমি সব মামলায় জামিনে আছি, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এর আগে রাত ২টার দিকে বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন জানান, পুলিশ এ্যানির ধানমন্ডির বাসা ঘিরে ফেলেছে। তাকে থানায় যেতে বলা হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বরাত দিয়ে স্বপন আরো জানান, রাত দেড়টায় পুলিশ তার বাসার চারপাশে অবস্থান নেয়।

সর্বশেষ বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন রাত ৩টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ধানমন্ডি থানায় গিয়েছেন। সেখানে এ্যনিকে আটকের পর থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব মামলায় জামিনে থাকার পরও এ্যানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গভীর রাতে তাকে ডাকাতের মতো পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এসব করে সরকার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। এভাবে গভীর রাতে কোনো নাগরিককে পুলিশ তুলে নিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড। আমি এর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এ্যানির মুক্তি দাবি করছি।

এদিকে বিএনপি নেতা এ্যানিকে তার বাসভবন ঘেরাও, পরবর্তী থানায় তুলে নেওয়া এবং বিনা কারণে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপেশাদার আচরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।