নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত ডিভিশন মঞ্জুর করেন এবং জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন প্রদানের জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায় হাসপাতালে সুচিকিৎসা প্রদানের আবেদন করা হয়। আমান সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক ডাকসুর ভিপি ছিলেন উল্লেখ করে এ আবেদনগুলো করেন তার তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
এদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালতে হাজির হন আমান। এর আগেই বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে হাজির হন। এরপর পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ তাদের আদালত চত্বর থেকে বের করে দেয়। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সেখানে স্লোগান দেন।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।