নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য নিজেরা ক্লান্ত। কর্মীরা হতাশ। তাদের নেতাদের মধ্যে কথার মিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে ঢাকা ও গাজীপুরে সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সাথে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধীতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?
সেতুমন্ত্রী বলেন, পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব। বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কিনা! ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি।
বিএনপি নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক ট্রেনিং কাকে দেবে? এটা আরেকটি প্রতারণাপূর্ণ কৌশল। বিএনপির একেক নেতা একেক রকম কথা বলেন। আমি এখন শুনতে চাই বিএনপির মহাসচিব তিনি এখন কি বলবেন। দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলেন, আমির খসরু কি বললেন, রিজভী কি বললেন, আবার মঈন খান কি বললেন। তার থেকেও গুরুত্ব দিয়ে জানতে চাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলেন, যেহেতু তিনি মহাসচিব।
‘একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কি না; তা বলবো কী করে,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কিনা; তা বলবো কী করে। এখন আমির খসরু যা বলে, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খানও বলেন। কারো কথার সাথে কারো কোনো মিল নাই।
বিএনপি নেতা হাফিজের দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে। এটি প্রতারণাপূর্ণ একটি কৌশল। আসলে দলটির নেতারা একেকজনে একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলেন? তিনিই দলের মুখপাত্র।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে, সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।