Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করে বিএনপি এখন নিজেদের জালেই আটকে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন বলছেন কোন দেশের ভিসানীতিতে কী আছে না আছে, দেখতে চাই না। আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছে।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ। ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রকাশের পর বিএনপি নেতারা অতিশয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন। সরকার এবং দেশের জনগণের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হলো যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রু জ্ঞান করে তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে তারা যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না, বরং দেশকে দুর্বল করবে। বিদেশিদের আপন করতে গিয়ে দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি।
দেশের আইন-আদালতের ওপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, এমনকী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এমন হয় না।

বিএনপি ভাড়াটিয়া সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরও তীব্রতর করেছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায়, তেমন দেশের জনগণ এবং সংবিধান ও আইন-আদালতকে ভয় পায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন দেশ নাকি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে! আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। তাদের মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন এরই মধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা! তারা ক্ষমতা চায়, কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করে বিএনপি এখন নিজেদের জালেই আটকে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন ভিসানীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন বলছেন কোন দেশের ভিসানীতিতে কী আছে না আছে, দেখতে চাই না। আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছে।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ। ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রকাশের পর বিএনপি নেতারা অতিশয় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন। সরকার এবং দেশের জনগণের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে নিজেদের অপরাজনৈতিক অভিলাষ বাস্তবায়নের উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হলো যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখলের আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রু জ্ঞান করে তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে তারা যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না, বরং দেশকে দুর্বল করবে। বিদেশিদের আপন করতে গিয়ে দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি।
দেশের আইন-আদালতের ওপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, এমনকী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এমন হয় না।

বিএনপি ভাড়াটিয়া সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরও তীব্রতর করেছে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায়, তেমন দেশের জনগণ এবং সংবিধান ও আইন-আদালতকে ভয় পায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন দেশ নাকি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে! আসলে বিএনপির রাজনীতিই আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। তাদের মিথ্যাচারের ফাঁপা বেলুন এরই মধ্যে চুপসে যেতে শুরু করেছে। তারা সরকার বিরোধিতার নামে দেশবিরোধিতায় লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা! তারা ক্ষমতা চায়, কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।