Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নিজেরাই অফিসে তালা মেরে রেখেছে : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেন, বিএনপি তাদের অফিসে নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে অবরোধে নাশকতায় আহত চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে তারা নিজেরা তালা মেরে রেখেছেন এবং তারা এখন সেখানে আসেন না। কেন আসেন না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। ১২ মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে, একইভাবে এখনও সেখানে পুলিশ প্রহরা আছে।

তিনি বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করছে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এখন যে চোরাগুপ্তা হামলা হচ্ছে সে বিষয়েও আমরা গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের নাশকতা কিংবা জ্বালাও পোড়াও কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ইতিমধ্যে যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছি। আর যারা এখনও পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আগামী নির্বাচনেও পুলিশ সে ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে যেন সম্পন্ন হয় তার জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুই করা হবে। যে বা যারা নির্বাচন বানচাল করতে আসবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় রক্ষায় পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে সে পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে নৃসংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।

যারা নৃসংশতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সকল প্রক্রিয়া চলমান উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইতোমধ্যে আগুন দেওয়ার সময় আমরা হাতে-নাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক কোনও অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবরোধ এবং পরবর্তি সময়ে পুলিশ দিন রাত রাস্তায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। পুলিশ যথাযথভাবে কাজ করছে। এরপরও যে হামলাগুলো হচ্ছে, এগুলো একান্তই চোরাগুপ্তা হামলা। শ্রমিকদের ঘুমন্ত অবস্থায় বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, এসবের জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি, এর ফলে জনগণের সহায়তায় আমরা অনেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ, তাহলে আমরা মনে করি চোরাগুপ্তা নাশকতা প্রতিরোধ করতে পারবো।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে, এরপর বলা যাবে কেন হামলা করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি, যেসব স্থান থেকে বাসে যাত্রী উঠে এবং নামে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশসহ ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীদের ছবি তুলে রাখছেন। এছাড়া, বিভিন্ন চেকপোস্টে বাস থামিয়ে বাসের ভেতরে চেক করা হচ্ছে। গাড়ি যেন যত্রতত্র ফেলে না রাখে, ড্রাইভারদের আরও সচেতন হতে বলা হয়েছে। এসব হামলা প্রতিরোধে আমাদের পুলিশের সব ইউনিট কাজ করছে।

সামনে তফসিল ঘিরে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা দেখেছি, এর আগে অনেক আন্দোলন-হরতালের নামে সহিংসতা করা হয়েছে। যে ধরনের সমস্যাই আসুক, যে আন্দোলনই আসুক; এসব মোকাবিলা করার সক্ষমতা পুলিশের আছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

বিএনপি নিজেরাই অফিসে তালা মেরে রেখেছে : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেন, বিএনপি তাদের অফিসে নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে অবরোধে নাশকতায় আহত চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে তারা নিজেরা তালা মেরে রেখেছেন এবং তারা এখন সেখানে আসেন না। কেন আসেন না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। ১২ মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে, একইভাবে এখনও সেখানে পুলিশ প্রহরা আছে।

তিনি বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করছে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এখন যে চোরাগুপ্তা হামলা হচ্ছে সে বিষয়েও আমরা গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের নাশকতা কিংবা জ্বালাও পোড়াও কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ইতিমধ্যে যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের অনেককেই আমরা গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছি। আর যারা এখনও পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আগামী নির্বাচনেও পুলিশ সে ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে যেন সম্পন্ন হয় তার জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুই করা হবে। যে বা যারা নির্বাচন বানচাল করতে আসবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় রক্ষায় পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে সে পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে নৃসংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।

যারা নৃসংশতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সকল প্রক্রিয়া চলমান উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইতোমধ্যে আগুন দেওয়ার সময় আমরা হাতে-নাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক কোনও অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবরোধ এবং পরবর্তি সময়ে পুলিশ দিন রাত রাস্তায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। পুলিশ যথাযথভাবে কাজ করছে। এরপরও যে হামলাগুলো হচ্ছে, এগুলো একান্তই চোরাগুপ্তা হামলা। শ্রমিকদের ঘুমন্ত অবস্থায় বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, এসবের জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি, এর ফলে জনগণের সহায়তায় আমরা অনেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সবারই এগিয়ে আসা উচিৎ, তাহলে আমরা মনে করি চোরাগুপ্তা নাশকতা প্রতিরোধ করতে পারবো।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে, এরপর বলা যাবে কেন হামলা করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি, যেসব স্থান থেকে বাসে যাত্রী উঠে এবং নামে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশসহ ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীদের ছবি তুলে রাখছেন। এছাড়া, বিভিন্ন চেকপোস্টে বাস থামিয়ে বাসের ভেতরে চেক করা হচ্ছে। গাড়ি যেন যত্রতত্র ফেলে না রাখে, ড্রাইভারদের আরও সচেতন হতে বলা হয়েছে। এসব হামলা প্রতিরোধে আমাদের পুলিশের সব ইউনিট কাজ করছে।

সামনে তফসিল ঘিরে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা দেখেছি, এর আগে অনেক আন্দোলন-হরতালের নামে সহিংসতা করা হয়েছে। যে ধরনের সমস্যাই আসুক, যে আন্দোলনই আসুক; এসব মোকাবিলা করার সক্ষমতা পুলিশের আছে।