Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াত লাগবে না, জনগণ একটি করে ঢিল দিলেই শেষ হয়ে যাবেন : জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতা হারালে বিএনপি-জামায়াত পিটিয়ে মেরে ফেলবে- আওয়ামী লীগ নেতারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন উল্লেখ করে দলটির নেতাদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত লাগবে না। ১৬ কোটি মানুষকে যেখানে ফেলেছেন তারা একটা করে ঢিল দিলেই আপনাদের অবস্থা শেষ হয়ে যাবে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ‘উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন ক্ষমতার বাইরে গেলে বিএনপি-জামায়াত পিটিয়ে মেরে ফেলবে। রক্তবন্যা হবে। বিএনপি-জামায়াত লাগবে না। ১৬ কোটি মানুষ একটি করে ঢিল দিলেই আপনাদের অবস্থা শেষ হয়ে যাবে। এজন্য পুলিশ ছাড়া চলতে পারেন না। এজন্য ক্ষমতায় থাকতে চান। পুলিশ ছাড়া তো রাস্তায় বের হতে পারবেন না। দেশবাসী কি আপনাদের আজীবন ক্ষমতায় রাখবে? এটা ভাবেন কেমন করে?

জিএম কাদের বলেন, মানুষের কাছে এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে সামনের নির্বাচন। নির্বাচন উপযুক্ত সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ভোট গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত। এ নিয়ে জনগণের মাঝে উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা বিরাজ করছে। ভবিষ্যতে আমাদের কী হবে-এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত।

উপজেলা দিবস ঘটা করে পালন না করার কারণ উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না, সঠিক পদ্ধতিতে হবে কি না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না, এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি উৎকণ্ঠা ও দোদুল্যমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সবাই আতঙ্কিত ও সন্দিহান। এসময়ে উপজেলা পদ্ধতি বা এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রায়োরিটি আছে বলে মনে হয় না।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা মনে করি এই পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটা এত ঘটা করে পালন করলে তা জনগণের কাছে হয়তো পৌঁছাবে না। জনগণের কাছে এখন প্রায়োরিটি শুধুই নির্বাচন। নির্বাচনে কী হতে চলেছে, কী হবে, সামনে কী হবে, ভবিষ্যতের জন্য কী অপেক্ষা করছে, এসব ভেবে মানুষ এখন অনেক আতঙ্কিত ও ভীত।

আওয়ামী লীগ দলীয়দের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সরকার দেশকে বিভক্ত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, একই শ্রেণির মানুষকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে আমেরিকা গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ করেনি। সম্প্রতি জার্মানির এক প্রতিষ্ঠান ১২৯ দেশের মধ্যে জরিপ করে ২০২৩ সালের রিপোর্টে বলেছে, ৪৮ দেশে স্বৈরশাসন চলছে। তারা বলেছে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডায় নতুন করে তা চালু হয়েছে।

ডলারের দাম বাড়ছে তাই প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার কমছে। ১০৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশি এবং দেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ১০৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মানুষের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রবাসী আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তাই রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা এখন আমাদের চেয়ে ভালো আছে জানিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয়েছিল, তখন এমনভাবেই তাদের রিজার্ভ কমেছিল। ১০ বিলিয়নে ঠেকলে দেশকে দেউলিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ডলারের দাম বাড়ছে, তাই প্রতিটি পণ্যের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট

বিএনপি-জামায়াত লাগবে না, জনগণ একটি করে ঢিল দিলেই শেষ হয়ে যাবেন : জিএম কাদের

প্রকাশের সময় : ১০:১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতা হারালে বিএনপি-জামায়াত পিটিয়ে মেরে ফেলবে- আওয়ামী লীগ নেতারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন উল্লেখ করে দলটির নেতাদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত লাগবে না। ১৬ কোটি মানুষকে যেখানে ফেলেছেন তারা একটা করে ঢিল দিলেই আপনাদের অবস্থা শেষ হয়ে যাবে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ‘উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন ক্ষমতার বাইরে গেলে বিএনপি-জামায়াত পিটিয়ে মেরে ফেলবে। রক্তবন্যা হবে। বিএনপি-জামায়াত লাগবে না। ১৬ কোটি মানুষ একটি করে ঢিল দিলেই আপনাদের অবস্থা শেষ হয়ে যাবে। এজন্য পুলিশ ছাড়া চলতে পারেন না। এজন্য ক্ষমতায় থাকতে চান। পুলিশ ছাড়া তো রাস্তায় বের হতে পারবেন না। দেশবাসী কি আপনাদের আজীবন ক্ষমতায় রাখবে? এটা ভাবেন কেমন করে?

জিএম কাদের বলেন, মানুষের কাছে এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে সামনের নির্বাচন। নির্বাচন উপযুক্ত সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ভোট গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত। এ নিয়ে জনগণের মাঝে উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা বিরাজ করছে। ভবিষ্যতে আমাদের কী হবে-এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত।

উপজেলা দিবস ঘটা করে পালন না করার কারণ উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না, সঠিক পদ্ধতিতে হবে কি না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না, এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি উৎকণ্ঠা ও দোদুল্যমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সবাই আতঙ্কিত ও সন্দিহান। এসময়ে উপজেলা পদ্ধতি বা এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রায়োরিটি আছে বলে মনে হয় না।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা মনে করি এই পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটা এত ঘটা করে পালন করলে তা জনগণের কাছে হয়তো পৌঁছাবে না। জনগণের কাছে এখন প্রায়োরিটি শুধুই নির্বাচন। নির্বাচনে কী হতে চলেছে, কী হবে, সামনে কী হবে, ভবিষ্যতের জন্য কী অপেক্ষা করছে, এসব ভেবে মানুষ এখন অনেক আতঙ্কিত ও ভীত।

আওয়ামী লীগ দলীয়দের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সরকার দেশকে বিভক্ত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, একই শ্রেণির মানুষকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে আমেরিকা গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ করেনি। সম্প্রতি জার্মানির এক প্রতিষ্ঠান ১২৯ দেশের মধ্যে জরিপ করে ২০২৩ সালের রিপোর্টে বলেছে, ৪৮ দেশে স্বৈরশাসন চলছে। তারা বলেছে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডায় নতুন করে তা চালু হয়েছে।

ডলারের দাম বাড়ছে তাই প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার কমছে। ১০৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশি এবং দেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ১০৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মানুষের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রবাসী আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তাই রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা এখন আমাদের চেয়ে ভালো আছে জানিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয়েছিল, তখন এমনভাবেই তাদের রিজার্ভ কমেছিল। ১০ বিলিয়নে ঠেকলে দেশকে দেউলিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ডলারের দাম বাড়ছে, তাই প্রতিটি পণ্যের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।