Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াত যেহেতু ভোটে নেই, তাদের ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার কি : কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি : 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি-জামায়াত (নেতাকর্মীদের) এখানে ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার নেই। তারা যেহেতু ভোটে নেই, তাদের এখানে থাকার দরকার কি। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেই তারা হত্যা, লুট, ডাকাতি, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি সাংবাদিকদের লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আমি নাকি ‘হেলমেট বাহিনী’ পালি।

পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ঘাপ্টি মেরে থাকা লোকজন বিএনপি-জামায়াতের টাকা খেয়ে অগ্নি সংযোগ, নৈশ প্রহরী হত্যা, স্বর্ণের দোকান লুটপাট ও ডাকাতি এবং গরু চুরির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এসব ব্যর্থতার কারণেই এখানে একজন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকেও পুলিশ ধরেনি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য। যাকে যেখানে পাবেন, ধরে থানায় সোপর্দ করবেন। ধরে দেওয়ার পর পুলিশ না রাখলে আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাবো। আজই আমি আমার নেত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।

তিনি বলেন, আমার কাছ থেকেও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এক লাখ টাকা নিয়েছে। পুলিশ ফোর্সের নানা ধরনের খরচ আছে বলে ওসি আমার কাছে টাকা চায়। আমি আমার কর্মচারী করিমকে দিয়ে ১ লাখ টাকা ওসির কাছে পাঠিয়ে দিই। দেশের যে কোনো আদালতে আমি এর প্রমাণ দিতে পারবো। গরু চুরির সঙ্গেও পুলিশ জড়িত। পুলিশের কারণে এখানকার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। একটা গরুও কেউ (নিজের কাছে) রাখতে পারে না। সালিস বাণিজ্য করে পুলিশ দু’পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে চুপ করে বসে থাকে।

পুলিশকে এ সময় ভালো হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি বিএনপি-জামায়াতকে উসকানি দিয়ে এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। প্রশাসন যদি সংশোধন না হয়, তাহলে নারী-পুরুষ সবাই মিলে জনমত সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ না করে এখানকার পুলিশ হরতাল-অবরোধের সময় অনুপস্থিত থাকে। তারা আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে পাহারা দেয়। এসপি-ওসিকে আমরা চিনি। তারা কোথায়, কি করে- তাও আমরা জানি। ভালো হয়ে যাও, ভালো না লাগলে এখান থেকে চলে যাও।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি সাংবাদিকদের লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আমি নাকি ‘‘হেলমেট বাহিনী’’ পালি। এখানে কী হেলমেট বাহিনী আছে? আমার নাকি হেলমেট বাহিনী আছে, এগুলো এসপি ও ওসি বলে। আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়। সোচ্চার থাকুন, ভয় পাবেন না। বিএনপি-জামায়াত এখানে ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার নেই। তারা যেহেতু ভোটে নেই, তাদের এখানে থাকারও দরকার কী। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেই এরা হত্যা, লুট, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সরকারি জায়গা দখল করে ভাতা আদায় করে খায়। সরকারি জায়গায় ঘর দিয়ে তারা ভাড়া আদায় করে। অথচ আমাদের সিএনজি ও রিকশা স্ট্যান্ড নেই। সরকারি জায়গাও দখলে রেখেছে পুলিশ।

কাদের মির্জা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা, ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারেক জিয়ার নির্দেশে সমাবেশে (গ্রেনেড হামলা করে) শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা- এগুলো কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ হত্যা, আমাদের দলের নেতা মামুন-ইমাম হত্যা, ২০১৫ সালে ১৫টি সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল- সেগুলো কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বিএনপি-জামায়াত যেহেতু ভোটে নেই, তাদের ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার কি : কাদের মির্জা

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি : 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি-জামায়াত (নেতাকর্মীদের) এখানে ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার নেই। তারা যেহেতু ভোটে নেই, তাদের এখানে থাকার দরকার কি। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেই তারা হত্যা, লুট, ডাকাতি, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি সাংবাদিকদের লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আমি নাকি ‘হেলমেট বাহিনী’ পালি।

পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ঘাপ্টি মেরে থাকা লোকজন বিএনপি-জামায়াতের টাকা খেয়ে অগ্নি সংযোগ, নৈশ প্রহরী হত্যা, স্বর্ণের দোকান লুটপাট ও ডাকাতি এবং গরু চুরির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এসব ব্যর্থতার কারণেই এখানে একজন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকেও পুলিশ ধরেনি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য। যাকে যেখানে পাবেন, ধরে থানায় সোপর্দ করবেন। ধরে দেওয়ার পর পুলিশ না রাখলে আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাবো। আজই আমি আমার নেত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।

তিনি বলেন, আমার কাছ থেকেও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এক লাখ টাকা নিয়েছে। পুলিশ ফোর্সের নানা ধরনের খরচ আছে বলে ওসি আমার কাছে টাকা চায়। আমি আমার কর্মচারী করিমকে দিয়ে ১ লাখ টাকা ওসির কাছে পাঠিয়ে দিই। দেশের যে কোনো আদালতে আমি এর প্রমাণ দিতে পারবো। গরু চুরির সঙ্গেও পুলিশ জড়িত। পুলিশের কারণে এখানকার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। একটা গরুও কেউ (নিজের কাছে) রাখতে পারে না। সালিস বাণিজ্য করে পুলিশ দু’পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে চুপ করে বসে থাকে।

পুলিশকে এ সময় ভালো হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি বিএনপি-জামায়াতকে উসকানি দিয়ে এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। প্রশাসন যদি সংশোধন না হয়, তাহলে নারী-পুরুষ সবাই মিলে জনমত সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ না করে এখানকার পুলিশ হরতাল-অবরোধের সময় অনুপস্থিত থাকে। তারা আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে পাহারা দেয়। এসপি-ওসিকে আমরা চিনি। তারা কোথায়, কি করে- তাও আমরা জানি। ভালো হয়ে যাও, ভালো না লাগলে এখান থেকে চলে যাও।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নোয়াখালীর এসপি ও ওসি সাংবাদিকদের লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে। আমি নাকি ‘‘হেলমেট বাহিনী’’ পালি। এখানে কী হেলমেট বাহিনী আছে? আমার নাকি হেলমেট বাহিনী আছে, এগুলো এসপি ও ওসি বলে। আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়। সোচ্চার থাকুন, ভয় পাবেন না। বিএনপি-জামায়াত এখানে ভোট পর্যন্ত থাকার দরকার নেই। তারা যেহেতু ভোটে নেই, তাদের এখানে থাকারও দরকার কী। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেই এরা হত্যা, লুট, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সরকারি জায়গা দখল করে ভাতা আদায় করে খায়। সরকারি জায়গায় ঘর দিয়ে তারা ভাড়া আদায় করে। অথচ আমাদের সিএনজি ও রিকশা স্ট্যান্ড নেই। সরকারি জায়গাও দখলে রেখেছে পুলিশ।

কাদের মির্জা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা, ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারেক জিয়ার নির্দেশে সমাবেশে (গ্রেনেড হামলা করে) শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা- এগুলো কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ হত্যা, আমাদের দলের নেতা মামুন-ইমাম হত্যা, ২০১৫ সালে ১৫টি সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল- সেগুলো কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?