Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না : প্রধানমন্ত্রী 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল ও অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস ও লুটপাট করছে। শুধু তাই নয়, পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বার বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। ৭৫-এর পর অস্ত্রের জোরে যেসব সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাস ও লুটপাট ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।

দেশব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন, বাকিরা হত্যা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বুঝে না। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে।

বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা এসব যারা করে তাদের আটক করা হবে না তো কি করা হবে? যারা এসব সন্ত্রাস করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে আবার আগুনে মানুষ পুড়ানো শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। এদের প্রতি শুধুই ঘৃণা। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? সরকারকে কি কারণে পদত্যাগ করতে হবে? আমরাতো ওদের মত আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারি না।

সরকারপ্রধান বলেন, সার, বিদ্যুৎসহ অনেক খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ এ সুবিধা দিয়েছে?

পোশাকশ্রমিকদের জন্য যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলব, যেটা (মজুরি) বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক।

তিনি বলেন, পোশাকশ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উস্কানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে। এটা শ্রমিকদের বুঝতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যখনই সময় আসে তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দেই। কিন্তু তারা যদি সেটা না করে, কারও প্ররোচনায় রাস্তায় নামে, তখন যারা তাদের উস্কানি দিচ্ছে তারাই তাদের (শ্রমিকদের) লাশ ফেলবে। এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যে, তারা (শ্রমিকরা) চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে যেয়ে পড়ে থাকতে হবে।

প্রায় তিন মাস পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হচ্ছে। চলতি বছর ১২ আগস্ট সর্বশেষ বৈঠক হয়। এবারের বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নানান উপ-কমিটি গঠন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ এবং সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না : প্রধানমন্ত্রী 

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল ও অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস ও লুটপাট করছে। শুধু তাই নয়, পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বার বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। ৭৫-এর পর অস্ত্রের জোরে যেসব সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাস ও লুটপাট ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।

দেশব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন, বাকিরা হত্যা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বুঝে না। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে।

বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা এসব যারা করে তাদের আটক করা হবে না তো কি করা হবে? যারা এসব সন্ত্রাস করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে আবার আগুনে মানুষ পুড়ানো শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। এদের প্রতি শুধুই ঘৃণা। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? সরকারকে কি কারণে পদত্যাগ করতে হবে? আমরাতো ওদের মত আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারি না।

সরকারপ্রধান বলেন, সার, বিদ্যুৎসহ অনেক খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ এ সুবিধা দিয়েছে?

পোশাকশ্রমিকদের জন্য যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলব, যেটা (মজুরি) বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক।

তিনি বলেন, পোশাকশ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উস্কানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে। এটা শ্রমিকদের বুঝতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যখনই সময় আসে তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দেই। কিন্তু তারা যদি সেটা না করে, কারও প্ররোচনায় রাস্তায় নামে, তখন যারা তাদের উস্কানি দিচ্ছে তারাই তাদের (শ্রমিকদের) লাশ ফেলবে। এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যে, তারা (শ্রমিকরা) চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে যেয়ে পড়ে থাকতে হবে।

প্রায় তিন মাস পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হচ্ছে। চলতি বছর ১২ আগস্ট সর্বশেষ বৈঠক হয়। এবারের বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নানান উপ-কমিটি গঠন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ এবং সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা হবে।