আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি :
বিএনপি-জামায়াত সরকার আসে খাইতে আমরা আসছি দিতে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর খেলার মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। বিএনপি-জামায়াত সরকার আসে খাইতে আমরা আসছি দিতে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত একটা উসিলা খুঁজে, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য। এবারও তারা সেই চেষ্টা করেছে। গত ২০১৪ সালে তারা নিরপরাধ মানুষকে বিনা দোষে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৮ সালে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। ২০২৩ সালে এসে এই অবরোধ দিচ্ছে শুধু শুধু কোনও কারণ ছাড়াই। এই নির্বাচন না করার জন্য তারা ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে নিষ্পাপ মা ও শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। তাদের মায়া দয়া নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। তারা এই দেশটাকে আবারও ১৯৭১ সালে সালে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তারা পাকিস্তান আর্মি থেকে ট্রেনিং পেয়েছে। মানুষ হত্যা করা। সেই ট্রেনিং পেয়ে তারা আবারও এ দেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে চায়। তিনি বলেন, এই পথে আমরা আর হাঁটবো না। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে উন্নয়নের সূর্য দেখিয়েছেন সেই সূর্য বারবার উঠুক এটাই আমরা চাই।
মন্ত্রী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সকলকে উৎসব মুখর পরিবেশে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র সুসংহত রাখার জন্য ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে ২১ বছর বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত উন্নয়নের কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন তিনি। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন– বিশ্বব্যাংক মনে করেছিল, তারা টাকা না দিলে পদ্মা সেতু নির্মিত হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা ভুল প্রমাণ করেছেন।
আনিসুল হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের সূর্য দেখিয়েছেন। সেই সূর্য প্রত্যেকবার উঠুক, সেটাই চাই আমরা। এজন্য আগামী ৭ জানুয়ারি সবাইকে কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল অহাব, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা পিয়ারা বেগম, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।