Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ছেড়ে আ. লীগে আসা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, বিএনপি ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয়। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়। বিএনপির কেউ দল পরিবর্তন করলে, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। কাউকে ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির একাধিক নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর দলটির মধ্যে অনেকেই আর বিএনপি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বিএনপির জনসমর্থন কমে গেছে। অনেকে দল পাল্টেছেন। ভেতরে ভেতরে অনেকে বলছে, জীবনে আর বিএনপি করবে না।’

বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এবং ঝালকাঠি-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘উনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে এসেছেন। এটা কি অপরাধ? বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এখনো জেলে আছেন। শাহজাহান ওমরও জেলে ছিলেন।

জেল থেকে বের হয়েই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি কাকতালীয় কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্যান্য যে নেতারা আছেন, অপরাধের সঙ্গে বিষয়টা তুলনা করতে হবে। আপনি একজন পুলিশকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করলেন, বিএনপির যে নেতাকর্মী যারা জেলে আছেন, তারা এই দায় এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, কোনো দলকে ভাগ করা আওয়ামী লীগের নীতি নয়। দলের ভুল নীতির জন্য, নেতৃত্বে হতাশ হয়ে, বিএনপি নেতারা নির্বাচনে আসছেন। বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়ে গেছে। ভুলের চোরাবালি আটকে গেছে বিএনপির আন্দোলন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। যত চেষ্টাই করুক আজকে আবারও তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যে নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়েছিল, তারাও এখন হতাশ। তাদের নিজেদের দলের লোকেরাই এখন বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা বিএনপির নেতৃত্বে ডাকে ভবিষ্যতে কখনো মাঠে নামবে না, আন্দোলন করবে না, এটা এখন বাস্তব সত্য।

তিনি বলেন, আমরা জানি, গণমুখী রাজনীতি না করে ষড়যন্ত্রের চোরাগলিতে পা রাখায় বিএনপির আজকে এই দুরবস্থা। তাদের দলের বিভক্তি আমরা করতে যাইনি। কোনো দলকে ভাগ করা এটা আমাদের নীতি নয়। তারা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থে তাদের দলে সর্বনাশা ভুল নীতি তাদের দলে বিভেদ সৃষ্টি করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি এ কথা যারা উঁচু গলায় বলেন তারা সত্য বলছেন না। কারণ আজকে তৃণমূল বিএনপিতে এত প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এরা সবাই বিএনপির লোক। বেশিরভাগই বিএনপি থেকে আসা। বিভক্তির বিষয়টা না আসলেও আজকে বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে যারা নির্বাচন করছেন, বিএনপির সাবেক নেতা বর্তমান নেতাদেরও অনেকে নির্বাচন করছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচনবিমুখ করতে পারেনি। জনগণ পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছেন। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তাই হচ্ছে, ২৯টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই সারা বাংলাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের যে আগ্রহ- চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকেও বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণ নির্বাচনে ভোট দিলে যাচাই হবে।

কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে অনেক বাধা-বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস- হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচন থেকে বাধা দেওয়া যায়নি। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

কাদের বলেন, বিএনপির ‘একদফা’ গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। নেতা-কর্মীরা বিএনপির ডাকে ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কিনা- এটাই সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুলনীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।

তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব-উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালোহাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয়- এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সকল ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খল- সকল কিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষে। বিএনপি ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সাব অরডিনেট অফিস নয়। একটি আইনসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান। পার্লামেন্টে আইন করে এই প্রতিষ্ঠানকে বর্তমানের অবস্থায় আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখন আর সরকারের কথায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বা অন্য কোনো নির্বাচন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড এখন আর সরকারের কথায় চলবে না। সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশন এখন আর সরকারের হাতে নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাটা এখন সম্পূর্ণভাবে তাদের হাতে। যখন যে ব্যবস্থা প্রয়োজন সেটা এখন তারা নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু বিষয়ে কর্মকাণ্ড নেতৃত্বের কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগী মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে ক্লাইমেট মুভিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ঘোষিত করেছে আই ও এম ও জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল ক্লাইমেট মুভিলিটি সংস্থা। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তিনি আমাদের গর্ব, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও শক্তি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের নতুন নতুন গৌরব ও উচ্চতা দেশের জন্য তিনি নিয়ে আসছেন। সেটা আমাদের মূল্যবান সম্পদ। শেখ হাসিনা ও বাঙালি জাতির এটা বিশাল সম্পদ। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাকে আমরা আবারো অভিনন্দন জানাই।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী,আনোয়ার হোসেন, নির্মল চ্যাটাজী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি ছেড়ে আ. লীগে আসা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, বিএনপি ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয়। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। শাহজাহান ওমর অনুপ্রবেশকারী নয়। বিএনপির কেউ দল পরিবর্তন করলে, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। কাউকে ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির একাধিক নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর দলটির মধ্যে অনেকেই আর বিএনপি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বিএনপির জনসমর্থন কমে গেছে। অনেকে দল পাল্টেছেন। ভেতরে ভেতরে অনেকে বলছে, জীবনে আর বিএনপি করবে না।’

বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এবং ঝালকাঠি-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘উনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে এসেছেন। এটা কি অপরাধ? বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এখনো জেলে আছেন। শাহজাহান ওমরও জেলে ছিলেন।

জেল থেকে বের হয়েই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি কাকতালীয় কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্যান্য যে নেতারা আছেন, অপরাধের সঙ্গে বিষয়টা তুলনা করতে হবে। আপনি একজন পুলিশকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করলেন, বিএনপির যে নেতাকর্মী যারা জেলে আছেন, তারা এই দায় এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, কোনো দলকে ভাগ করা আওয়ামী লীগের নীতি নয়। দলের ভুল নীতির জন্য, নেতৃত্বে হতাশ হয়ে, বিএনপি নেতারা নির্বাচনে আসছেন। বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়ে গেছে। ভুলের চোরাবালি আটকে গেছে বিএনপির আন্দোলন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। যত চেষ্টাই করুক আজকে আবারও তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যে নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়েছিল, তারাও এখন হতাশ। তাদের নিজেদের দলের লোকেরাই এখন বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা বিএনপির নেতৃত্বে ডাকে ভবিষ্যতে কখনো মাঠে নামবে না, আন্দোলন করবে না, এটা এখন বাস্তব সত্য।

তিনি বলেন, আমরা জানি, গণমুখী রাজনীতি না করে ষড়যন্ত্রের চোরাগলিতে পা রাখায় বিএনপির আজকে এই দুরবস্থা। তাদের দলের বিভক্তি আমরা করতে যাইনি। কোনো দলকে ভাগ করা এটা আমাদের নীতি নয়। তারা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থে তাদের দলে সর্বনাশা ভুল নীতি তাদের দলে বিভেদ সৃষ্টি করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি এ কথা যারা উঁচু গলায় বলেন তারা সত্য বলছেন না। কারণ আজকে তৃণমূল বিএনপিতে এত প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এরা সবাই বিএনপির লোক। বেশিরভাগই বিএনপি থেকে আসা। বিভক্তির বিষয়টা না আসলেও আজকে বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে যারা নির্বাচন করছেন, বিএনপির সাবেক নেতা বর্তমান নেতাদেরও অনেকে নির্বাচন করছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচনবিমুখ করতে পারেনি। জনগণ পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছেন। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তাই হচ্ছে, ২৯টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই সারা বাংলাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের যে আগ্রহ- চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট প্রার্থীকে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে গেলে সেটাকেও বাঁধা দেওয়া গণতন্ত্র নয়। স্বতন্ত্র হোক আর যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করুক, জনগণ নির্বাচনে ভোট দিলে যাচাই হবে।

কিছু কিছু দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে অনেক বাধা-বিপত্তি আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস- হরতাল দিয়েও বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচন থেকে বাধা দেওয়া যায়নি। অনেক অপচেষ্টার পরও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

কাদের বলেন, বিএনপির ‘একদফা’ গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরাও হতাশ। নেতা-কর্মীরা বিএনপির ডাকে ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাঠে নামবে কিনা- এটাই সন্দেহ। বিএনপির সর্বনাশা ভুলনীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।

তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। ২৯টি দল নির্বাচনমুখী, বিএনপিসহ ১৪/১৫টি দল নির্বাচনের বাইরে। নির্বাচনে জনগণের উৎসব-উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি আসবে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের কালোহাত জনগণই ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ভেঙে দেবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে ভারতকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা পাকিস্তান আমল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের আসলে ভারত আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রোপাগাণ্ডা হয়- এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনগত সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীনভাবে সকল ব্যবস্থা তারা নিতে পারে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খল- সকল কিছুই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। আইআরআই এর সমীক্ষা বলেছে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনার পক্ষে। বিএনপি ভুল রাজনীতির কারণে তারা জনসমর্থন হারিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সাব অরডিনেট অফিস নয়। একটি আইনসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান। পার্লামেন্টে আইন করে এই প্রতিষ্ঠানকে বর্তমানের অবস্থায় আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখন আর সরকারের কথায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বা অন্য কোনো নির্বাচন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড এখন আর সরকারের কথায় চলবে না। সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশন এখন আর সরকারের হাতে নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাটা এখন সম্পূর্ণভাবে তাদের হাতে। যখন যে ব্যবস্থা প্রয়োজন সেটা এখন তারা নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু বিষয়ে কর্মকাণ্ড নেতৃত্বের কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ভুক্তভোগী মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে ক্লাইমেট মুভিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ঘোষিত করেছে আই ও এম ও জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল ক্লাইমেট মুভিলিটি সংস্থা। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তিনি আমাদের গর্ব, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও শক্তি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের নতুন নতুন গৌরব ও উচ্চতা দেশের জন্য তিনি নিয়ে আসছেন। সেটা আমাদের মূল্যবান সম্পদ। শেখ হাসিনা ও বাঙালি জাতির এটা বিশাল সম্পদ। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাকে আমরা আবারো অভিনন্দন জানাই।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী,আনোয়ার হোসেন, নির্মল চ্যাটাজী প্রমুখ।