Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সব দলই ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : সালাউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দলই চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হোক। প্রধান উপদেষ্টা কেনো বিএনপিকে নির্বাচন নিয়ে দোষারোপ করলেন, তা বোধগম্য নয়।

শুক্রবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর টিঅ্যান্ডটি মাঠের সামনে আয়োজিত দোয়া মাহফিল এবং বস্ত্র ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, কেবল একটি দল নির্বাচন চায়—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য সঠিক নয়। যথেষ্ট তথ্য না থাকায় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। তথ্যগত ভুলের কারণে তিনি এটা বলে থাকলে, এটা নিয়ে সমালোচনা করবো না।

তিনি বলেন, সমস্ত জাতি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমান। খুব শীঘ্রই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের পত্রিকায় সংবাদ দেখলাম, প্রধান উপদেষ্টা জাপান গিয়ে তার বক্তব্যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র একটি দল নির্বাচন চায়। আমরা এই বিষয়ে মনে করি তার কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। তার কাছে লিখিতভাবে যেসব গণতান্ত্রিক দলগুলো কাগজ জমা দিয়েছে, আলাপ করেছে, যে সভায় তিনি আহ্বান করেছেন আলাপ-আলোচনার জন্য সমস্ত দলকে। তাতে আমরা জানি বিএনপি ও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক ছিল সেসব দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমমনা দল, ১২ দল- সবাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দাবি জানিয়েছিলেন সেটা আমরা জানি। তবে তথ্যগত ভুলের কারণে যদি তিনি সেটা বলে থাকেন, তাহলে আমি এই বিষয়ে কোনো সমালোচনা করবো না। তবে সমগ্র জাতি একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ। এটা তার বোঝা উচিত এবং খুব শিগগিরই একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেবেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে।

তিনি বলেন, কথা একটাই পরিষ্কার, যেসব সংস্কার ও বিচারের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কোনোদিন শেষ হয় না। সংস্কার অবিরাম চলতেই থাকে সমাজের চাহিদা এবং মানুষ ও দেশের প্রয়োজনে। আর বিচার প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেই বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হবে এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা, শহীদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা, এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা, এ দেশে অবশ্যই খুনি, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, তার দল, তার দোসরদের সমস্ত অপরাধের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান একটি নাম, একটি জিহাদ। শহীদ জিয়ার জন্ম হয়েছিল এ দেশের স্বাধীনতার জন্য। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাতবরণ করেছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি রুখে দেওয়ার জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে। আজকের দিনে আমাদের শপথ হোক, আমরা এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এই জাতিকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক, সাম্য, সামাজিক, সুবিচারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণ করি। যে সমাজে আর কোনো দিন গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের জন্য, অধিকারের জন্য আমাদের জীবন দিতে হবে না, যুদ্ধ করতে হবে না।

বক্তব্য শেষে তিনি গরিব ও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হালিম দেওয়ান রিপন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ শামীম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সব দলই ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : সালাউদ্দিন আহমদ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দলই চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হোক। প্রধান উপদেষ্টা কেনো বিএনপিকে নির্বাচন নিয়ে দোষারোপ করলেন, তা বোধগম্য নয়।

শুক্রবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর টিঅ্যান্ডটি মাঠের সামনে আয়োজিত দোয়া মাহফিল এবং বস্ত্র ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, কেবল একটি দল নির্বাচন চায়—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য সঠিক নয়। যথেষ্ট তথ্য না থাকায় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। তথ্যগত ভুলের কারণে তিনি এটা বলে থাকলে, এটা নিয়ে সমালোচনা করবো না।

তিনি বলেন, সমস্ত জাতি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমান। খুব শীঘ্রই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের পত্রিকায় সংবাদ দেখলাম, প্রধান উপদেষ্টা জাপান গিয়ে তার বক্তব্যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র একটি দল নির্বাচন চায়। আমরা এই বিষয়ে মনে করি তার কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। তার কাছে লিখিতভাবে যেসব গণতান্ত্রিক দলগুলো কাগজ জমা দিয়েছে, আলাপ করেছে, যে সভায় তিনি আহ্বান করেছেন আলাপ-আলোচনার জন্য সমস্ত দলকে। তাতে আমরা জানি বিএনপি ও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক ছিল সেসব দল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমমনা দল, ১২ দল- সবাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দাবি জানিয়েছিলেন সেটা আমরা জানি। তবে তথ্যগত ভুলের কারণে যদি তিনি সেটা বলে থাকেন, তাহলে আমি এই বিষয়ে কোনো সমালোচনা করবো না। তবে সমগ্র জাতি একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ। এটা তার বোঝা উচিত এবং খুব শিগগিরই একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেবেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে।

তিনি বলেন, কথা একটাই পরিষ্কার, যেসব সংস্কার ও বিচারের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কোনোদিন শেষ হয় না। সংস্কার অবিরাম চলতেই থাকে সমাজের চাহিদা এবং মানুষ ও দেশের প্রয়োজনে। আর বিচার প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেই বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হবে এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা, শহীদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা, এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা, এ দেশে অবশ্যই খুনি, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, তার দল, তার দোসরদের সমস্ত অপরাধের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান একটি নাম, একটি জিহাদ। শহীদ জিয়ার জন্ম হয়েছিল এ দেশের স্বাধীনতার জন্য। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাতবরণ করেছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি রুখে দেওয়ার জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে। আজকের দিনে আমাদের শপথ হোক, আমরা এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এই জাতিকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক, সাম্য, সামাজিক, সুবিচারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণ করি। যে সমাজে আর কোনো দিন গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের জন্য, অধিকারের জন্য আমাদের জীবন দিতে হবে না, যুদ্ধ করতে হবে না।

বক্তব্য শেষে তিনি গরিব ও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হালিম দেওয়ান রিপন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ শামীম প্রমুখ।