Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেছেন, বিএনপি মহা ভুল করেছে। এখন উপলব্ধি করতে পেরে মাথায় হাত দিয়েছে। তারা বুঝতে পারছে যে, নির্বাচন বর্জন করা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

কালো পতাকা মিছিল অবৈধ জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি নেয়নি সেটাও অনিয়ম। আপনারা যখন তখন ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি নিবেন এটা হতে পারে না। নির্বাচনে অংশ নেননি এটা ভুল করেছেন। এখন কালো পতাকা মিছিল করছেন। কালো পতাকা প্রশ্ন কেন আসবে? আজকে দেশি-বিদেশি সজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের বন্ধু রাষ্ট্র, নির্বাচন আগে তারা বিভিন্নভাবে একটা দেশের ক্ষমতাসীনদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে। নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির মতো বিষয় বার বার দেখেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নয়। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মি. পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনেও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ করি। এর মানে কী দাঁড়ায়? আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেবো। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেবো।

ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি- জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কথা তো যা বলার তিনি একাই বললেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরও সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য তাকে আহ্বান করা হয়নি। তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। তার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।

দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার শুধু কথা নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে।

এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি, ইসহাক আলী খান পান্না প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেছেন, বিএনপি মহা ভুল করেছে। এখন উপলব্ধি করতে পেরে মাথায় হাত দিয়েছে। তারা বুঝতে পারছে যে, নির্বাচন বর্জন করা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

কালো পতাকা মিছিল অবৈধ জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি নেয়নি সেটাও অনিয়ম। আপনারা যখন তখন ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি নিবেন এটা হতে পারে না। নির্বাচনে অংশ নেননি এটা ভুল করেছেন। এখন কালো পতাকা মিছিল করছেন। কালো পতাকা প্রশ্ন কেন আসবে? আজকে দেশি-বিদেশি সজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের বন্ধু রাষ্ট্র, নির্বাচন আগে তারা বিভিন্নভাবে একটা দেশের ক্ষমতাসীনদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে। নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির মতো বিষয় বার বার দেখেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নয়। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মি. পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনেও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ করি। এর মানে কী দাঁড়ায়? আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেবো। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেবো।

ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি- জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কথা তো যা বলার তিনি একাই বললেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরও সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য তাকে আহ্বান করা হয়নি। তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। তার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।

দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার শুধু কথা নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে।

এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি, ইসহাক আলী খান পান্না প্রমুখ।