Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে। এক এগারোর দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খাওয়া মির্জা ফখরুল সাহেবদের আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়ে গেছে, এমতাবস্থায় আবার ড. ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছেন।

ড. ইউনূসের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে তারাই এখন গণতন্ত্র নাকি পুনরুদ্ধার করবে। তারা মুখ দিয়ে মুখচ্ছবি আড়াল করতে চায়। এ সরকার থাকতে তা সফল হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, যারা একদিকে ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখেন। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।

ড. ইউনূসের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যে মানুষ একটা শোকও প্রকাশ করেনি। চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে, একটা কথাও বলেননি। আপনারা বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, এই ড. ইউনূস আমাদের শহীদ মিনারে যান, কোনোদিন গেছেন? জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, কোনোদিন গেছেন? আমাদের বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে তিনি কখনো এসেছেন? তিনি কী কখনো সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন?

প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভয়াবহ করোনায় সময়ও তিনি কোনো কথা বলেননি। আমাদের দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে যায়, ড. ইউনূস কথা বলেননি। আমি চাই, যেই মানুষ আমার সুখে-দুঃখে নেই, সেই মানুষের জন্য আমাদের এতো মায়াকান্না কেন? তিনি আমাদের সুখ-দুঃখে কষ্টের সময় নেই। তার জন্য আমাদের এতো দরদ কেন?

তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কার পেলেই অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন সেটা কোন আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করায় শ্রমিকরা মামলা করেছে। শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন, এসব নিয়ে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে যারা বিবৃতি দিয়েছে, এ বিবৃতি যে স্পেসে দেয়া হয়েছে সেটা কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লাগে। বিজ্ঞাপনের এ অর্থ কোথা থেকে এলো সেটা আমাদের জিজ্ঞাসা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আন্দোলনে পারলেন না, হাসিনাকে হটাতে হবে। কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান-ইলেভেনের মতো ইউনূসের নেতৃত্বে একটা নতুন সরকার এমন কথা-বার্তা বাজারে আছে। সেই দুঃস্বপ্ন দেখছেন কি না জানি না। ওয়ান-ইলেভেনে ইউনূস সাহেব কম চেষ্টা করেননি। তখনো ওনার খায়েশ ছিল। সে খায়েশ পূর্ণ হয়নি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, ৭৫ এর খুনি, একুশে আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আজ রাজনীতিতে সহাবস্থান করতে হয়। সেই শক্তির সঙ্গেই গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে হয় এখন।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, দুর্নীতি করছে, তারাই গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের লজ্জা নেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে। এক এগারোর দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খাওয়া মির্জা ফখরুল সাহেবদের আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়ে গেছে, এমতাবস্থায় আবার ড. ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছেন।

ড. ইউনূসের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে তারাই এখন গণতন্ত্র নাকি পুনরুদ্ধার করবে। তারা মুখ দিয়ে মুখচ্ছবি আড়াল করতে চায়। এ সরকার থাকতে তা সফল হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, যারা একদিকে ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখেন। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভণ্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।

ড. ইউনূসের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যে মানুষ একটা শোকও প্রকাশ করেনি। চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে, একটা কথাও বলেননি। আপনারা বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, এই ড. ইউনূস আমাদের শহীদ মিনারে যান, কোনোদিন গেছেন? জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান, কোনোদিন গেছেন? আমাদের বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে তিনি কখনো এসেছেন? তিনি কী কখনো সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন?

প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভয়াবহ করোনায় সময়ও তিনি কোনো কথা বলেননি। আমাদের দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে যায়, ড. ইউনূস কথা বলেননি। আমি চাই, যেই মানুষ আমার সুখে-দুঃখে নেই, সেই মানুষের জন্য আমাদের এতো মায়াকান্না কেন? তিনি আমাদের সুখ-দুঃখে কষ্টের সময় নেই। তার জন্য আমাদের এতো দরদ কেন?

তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কার পেলেই অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন সেটা কোন আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করায় শ্রমিকরা মামলা করেছে। শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন, এসব নিয়ে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে যারা বিবৃতি দিয়েছে, এ বিবৃতি যে স্পেসে দেয়া হয়েছে সেটা কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লাগে। বিজ্ঞাপনের এ অর্থ কোথা থেকে এলো সেটা আমাদের জিজ্ঞাসা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আন্দোলনে পারলেন না, হাসিনাকে হটাতে হবে। কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান-ইলেভেনের মতো ইউনূসের নেতৃত্বে একটা নতুন সরকার এমন কথা-বার্তা বাজারে আছে। সেই দুঃস্বপ্ন দেখছেন কি না জানি না। ওয়ান-ইলেভেনে ইউনূস সাহেব কম চেষ্টা করেননি। তখনো ওনার খায়েশ ছিল। সে খায়েশ পূর্ণ হয়নি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, ৭৫ এর খুনি, একুশে আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আজ রাজনীতিতে সহাবস্থান করতে হয়। সেই শক্তির সঙ্গেই গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে হয় এখন।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, দুর্নীতি করছে, তারাই গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের লজ্জা নেই।