Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আমরা লড়াই শুরু করেছি অধিকার ফিরে পাবার জন্য। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি। মানুষের অধিকার পাওয়ার জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই শুরু করেছি। এই লড়াইয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। প্রতিদিন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অতি শিগগিরই এই লড়াইয়ে জয়ী হব।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিআরইউতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আন্দোলনে নিহত হওয়া বিএনপি নেতাদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, লড়াই শুরু করেছি, অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। একটা আধুনিক, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি। মানুষের অধিকার পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছে, ন্যায় বিচারের জন্য।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন তো করার কথা না। আমরা আন্দোলন করেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যারা আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিল। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছিল না। যে কারণে একটা যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য আবারো লড়াই করতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে।

দেশর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ যে এই পরিস্থিতিতে পড়বে, তা আমরা কখনো ভাবিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় এ কেমন দেশ আমরা তৈরি করলাম? যে দেশে মানুষের সম্মান থাকবে না, যে দেশের মানুষের প্রাণের কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না, বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না। আমি আমার ভোট দিতে পারবো না, সেখানে আমি আমার কথা বলতে পারবো না, আমার প্রতি অন্যায় হবে সে কথা বলতে পারবো না, আইনজীবীরা কোর্টে পুলিশের হাতে পিটানি খাবেন। সেই দেশটা আমরা চিন্তা করিনি, কোনোদিন ভাবিওনি।

আজকের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে আসতে ইচ্ছা করে না। গত ১৫ বছর ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমরা আসি। কষ্ট পাই, পরিবারগুলো কষ্ট পায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা তাদের জন্য খুব বেশি কিছু করতে পারিনি। অনেকে স্বামী হারিয়েছেন, বাবা হারিয়েছেন, ছেলে হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। মানব সভ্যতার ইতিহাস বলে আত্মত্যাগ কোনোদিন বৃথা যাবে না। তাদের রক্তের স্রোত, মায়ের অশ্রু ধারা কখনো বৃথা যেতে পারে না।

শহিদ পরিবার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি তাদের যে অভাব, ক্ষতি সেটা আমরা কোনোদিন পূরণ করে দিতে পারব না। আমরা যদি বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আনতে পারি, যদি অধিকারগুলো যদি ফিরিয়ে দিতে পারি, যদি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, যদি এখানে একটি সাম্যের পরিবেশ তৈরি হয়, মানবিক মর্যাদা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে তাদের স্বামী সন্তানদের আত্মত্যাগের একটা মূল্য দেওয়া হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আসুন আজকে আমরা এ শিশুদের মাথায় হাত রেখে শপথ নিই, কোনো কিছুর সঙ্গে আপস না করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসবো।

সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, বিচারপতির কাছে গিয়েছিলেন আমাদের আইনজীবীরা। তিনি বলেছেন ‘আমার যদি কিছু করার থাকে তাহলে আমি করবো।’ তিনি যদি এ কথা বলেন তাহলে কোথায় যাবো আমরা? কার কাছে যাবো আমরা? এদেশের মানুষ কোথায় যাবে?

অর্পণ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিথীকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বিএনপি আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আমরা লড়াই শুরু করেছি অধিকার ফিরে পাবার জন্য। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি। মানুষের অধিকার পাওয়ার জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই শুরু করেছি। এই লড়াইয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। প্রতিদিন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অতি শিগগিরই এই লড়াইয়ে জয়ী হব।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিআরইউতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আন্দোলনে নিহত হওয়া বিএনপি নেতাদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, লড়াই শুরু করেছি, অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। একটা আধুনিক, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি। মানুষের অধিকার পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছে, ন্যায় বিচারের জন্য।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন তো করার কথা না। আমরা আন্দোলন করেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। যারা আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিল। একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছিল না। যে কারণে একটা যুদ্ধ হয়েছে। সেই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য আবারো লড়াই করতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে।

দেশর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ যে এই পরিস্থিতিতে পড়বে, তা আমরা কখনো ভাবিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় এ কেমন দেশ আমরা তৈরি করলাম? যে দেশে মানুষের সম্মান থাকবে না, যে দেশের মানুষের প্রাণের কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না, বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না। আমি আমার ভোট দিতে পারবো না, সেখানে আমি আমার কথা বলতে পারবো না, আমার প্রতি অন্যায় হবে সে কথা বলতে পারবো না, আইনজীবীরা কোর্টে পুলিশের হাতে পিটানি খাবেন। সেই দেশটা আমরা চিন্তা করিনি, কোনোদিন ভাবিওনি।

আজকের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে আসতে ইচ্ছা করে না। গত ১৫ বছর ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমরা আসি। কষ্ট পাই, পরিবারগুলো কষ্ট পায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা তাদের জন্য খুব বেশি কিছু করতে পারিনি। অনেকে স্বামী হারিয়েছেন, বাবা হারিয়েছেন, ছেলে হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। মানব সভ্যতার ইতিহাস বলে আত্মত্যাগ কোনোদিন বৃথা যাবে না। তাদের রক্তের স্রোত, মায়ের অশ্রু ধারা কখনো বৃথা যেতে পারে না।

শহিদ পরিবার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি তাদের যে অভাব, ক্ষতি সেটা আমরা কোনোদিন পূরণ করে দিতে পারব না। আমরা যদি বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আনতে পারি, যদি অধিকারগুলো যদি ফিরিয়ে দিতে পারি, যদি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, যদি এখানে একটি সাম্যের পরিবেশ তৈরি হয়, মানবিক মর্যাদা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে তাদের স্বামী সন্তানদের আত্মত্যাগের একটা মূল্য দেওয়া হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আসুন আজকে আমরা এ শিশুদের মাথায় হাত রেখে শপথ নিই, কোনো কিছুর সঙ্গে আপস না করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসবো।

সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, বিচারপতির কাছে গিয়েছিলেন আমাদের আইনজীবীরা। তিনি বলেছেন ‘আমার যদি কিছু করার থাকে তাহলে আমি করবো।’ তিনি যদি এ কথা বলেন তাহলে কোথায় যাবো আমরা? কার কাছে যাবো আমরা? এদেশের মানুষ কোথায় যাবে?

অর্পণ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিথীকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।