Dhaka রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বানানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি যে শর্ত দিয়েছে তা সংবিধানের বাইরে, সংবিধান বিরোধী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা দলটির একদফা নিয়ে বিদেশিদের কোনো বক্তব্য নেই। তারা সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন পণ্ড করবে, নির্বাচন ভন্ডুল করবে- এ লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিস্কার কথা, আওয়ামী লীগের দফা একটাই- সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি অদ্ভুত, উদ্ভট ও অযোক্তিক। বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিবে এমন নিশ্চয়তা না পেলে তারা নির্বাচনে আসবে না। এটা তাদের প্রতিজ্ঞা, পণ করেছে।

এর আগে সেতুভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, সাক্ষাৎকালে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশি হাইকমিশনার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক করার কথা বলেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা দলটির এক দফা নিয়ে বিদেশিদের কোনও বক্তব্য নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন, আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে চেয়েছি বা করতে চাই। ইলেকশন প্রক্রিয়াটা কেমন হবে। অপজিশনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? এসব নিয়ে তারা আলোচনা করছে বা করবেই।

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশার বিষয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যা বলেছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যা বলেছি, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকেও তাই বলেছি। আমাদের বক্তব্য অভিন্ন। যেভাবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে কথা বলেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের (ব্রিটেন) নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রধানমন্ত্রী কী পদত্যাগ করেন, হাউজ অব কমন্স কী বিলুপ্ত হয়- সেটা বলেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি যে নির্বাচনে আসবে, এমন কোনো ইঙ্গিত ইশারা কি দিয়েছে? তারা যে এক দফা দাবিতে চলে গেছে, সেখানে তারা তো নির্বাচনে আসার অনুকূলে নেই। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উসকানি এরইমধ্যে দেওয়া শুরু করেছে। তারা জানান দিচ্ছে, তারা অশান্তির দিকে যাচ্ছে। তাদের অশান্তি হলো সন্ত্রাস করবে, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে। এসব লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। এটা তারা জানান দিয়ে ফেলেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছি তারা যেন বিএনপির উসকানিতে শান্ত থাকে। তারা উসকানি দেবে কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করা চলবে না। বিএনপি যে কোন পথে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের যা করার তাই করবে। একটা দেশে কি এক দল সন্ত্রাস করবে, অফিস ভাঙবে, পুলিশকে মারতে যাবে, যেখানে সেখানে মারামারি করতে যাবে, সেখানে কি সরকার চুপ করে বসে থাকবে?

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে এমন ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে আসতে চায় না। তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সেই ক্ষমতায় যাবে।

নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তারা কোনো মেজর পলিসি ডিসিশন নিতে পারবে না, সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আর্থিক, রেগুলেটরি, অনেক বিষয়ে কমিশন স্বাধীন হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ পরিবারকে ২ কোটি টাকার অনুদান

বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বানানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি যে শর্ত দিয়েছে তা সংবিধানের বাইরে, সংবিধান বিরোধী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা দলটির একদফা নিয়ে বিদেশিদের কোনো বক্তব্য নেই। তারা সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন পণ্ড করবে, নির্বাচন ভন্ডুল করবে- এ লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিস্কার কথা, আওয়ামী লীগের দফা একটাই- সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি অদ্ভুত, উদ্ভট ও অযোক্তিক। বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিবে এমন নিশ্চয়তা না পেলে তারা নির্বাচনে আসবে না। এটা তাদের প্রতিজ্ঞা, পণ করেছে।

এর আগে সেতুভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, সাক্ষাৎকালে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশি হাইকমিশনার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক করার কথা বলেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা দলটির এক দফা নিয়ে বিদেশিদের কোনও বক্তব্য নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন, আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে চেয়েছি বা করতে চাই। ইলেকশন প্রক্রিয়াটা কেমন হবে। অপজিশনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? এসব নিয়ে তারা আলোচনা করছে বা করবেই।

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশার বিষয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যা বলেছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যা বলেছি, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকেও তাই বলেছি। আমাদের বক্তব্য অভিন্ন। যেভাবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে কথা বলেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের (ব্রিটেন) নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রধানমন্ত্রী কী পদত্যাগ করেন, হাউজ অব কমন্স কী বিলুপ্ত হয়- সেটা বলেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি যে নির্বাচনে আসবে, এমন কোনো ইঙ্গিত ইশারা কি দিয়েছে? তারা যে এক দফা দাবিতে চলে গেছে, সেখানে তারা তো নির্বাচনে আসার অনুকূলে নেই। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উসকানি এরইমধ্যে দেওয়া শুরু করেছে। তারা জানান দিচ্ছে, তারা অশান্তির দিকে যাচ্ছে। তাদের অশান্তি হলো সন্ত্রাস করবে, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে। এসব লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। এটা তারা জানান দিয়ে ফেলেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছি তারা যেন বিএনপির উসকানিতে শান্ত থাকে। তারা উসকানি দেবে কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করা চলবে না। বিএনপি যে কোন পথে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের যা করার তাই করবে। একটা দেশে কি এক দল সন্ত্রাস করবে, অফিস ভাঙবে, পুলিশকে মারতে যাবে, যেখানে সেখানে মারামারি করতে যাবে, সেখানে কি সরকার চুপ করে বসে থাকবে?

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে এমন ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে আসতে চায় না। তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সেই ক্ষমতায় যাবে।

নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তারা কোনো মেজর পলিসি ডিসিশন নিতে পারবে না, সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আর্থিক, রেগুলেটরি, অনেক বিষয়ে কমিশন স্বাধীন হয়েছে।