Dhaka বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা চেয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক নয় : আইন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি শুধু বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার যেন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার মতো কোনো দাবি তারা উত্থাপন করেনি। আমরা নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সরকার নিরপেক্ষভাবেই কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সমসাময়িক নানা ইস্যুতে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই কাজ করছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও অনৈক্য দেখা দেয়ার কারণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য বা বিবৃতির কারণে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কেন সংশয় রয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন উপদেষ্টা বলেন, মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না আমি জানি না। আমার মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো (নির্বাচন নিয়ে মানুষের সংশয়)।

তিনি বলেন, তবে আমার ধারণা যখন আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সকল সংশয় খুব দ্রুত আশা করি কেটে যাবে।

নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কি এ সরকারের নয়- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার তো চেষ্টা করছে।’

তবে কি নির্বাচনের সময় এই উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।

দলীয় কেউ থাকলে তিনি যেন অন্তর্বর্তী সরকারের না থাকেন, সে বিষয়ে বিএনপি বলেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন উপদেষ্টা বলেন, সেটা তো ওনারা এর আগেও বলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আরও ক্লোজলি মনিটর (নিবিড় তদারকি) করবেন সেটা বলেছেন।

একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, আমি এ ব্যাপারে কমেন্ট করার মতো জায়গায় নেই। আমি জনপ্রশাসনের দায়িত্বে নেই।

জনপ্রশাসনের নিয়োগ-বদলি দলীয়ভাবে হয়, সেজন্য কি এই (প্রধান উপদেষ্টার নিবিড় তদারকি) প্রসঙ্গটি এসেছে? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, না, আমরা মনে করি না দলীয়ভাবে হয়।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সবদলই অভিযোগ করে। একদল বলে ওই দলের লোক আছে, আরেক দল বলে এই দলের লোক আছে। যেহেতু সবদলই অভিযোগ করে অন্য দলের লোক আছে, তার মানে হচ্ছে আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের উপস্থিত হওয়া অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার বলে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনা সদস্যরা যেভাবে এসেছেন বা যেভাবে ওনাদের নিয়ে আসা হয়েছে, এখানে সেনা প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেনাপ্রধান—ওনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এটা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তারা আইনে শাসনের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছেন এটা আমরা খুব পজিটিভলি (ইতিবাচকভাবে) দেখছি।

তাদের কারাগারে পাঠাতে আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, সাব জেলে কেন রাখা হয়েছে বা ওনাদের কোথায় রাখা হবে এটা সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়। ওনারা যেটা প্রয়োজন, যেটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট মনে করবেন এটা ওনারা করবেন। এটার জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিরসরাইয়ে ২০৯ কোটি টাকায় হবে অ্যাক্সেস সড়ক

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা চেয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক নয় : আইন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি শুধু বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার যেন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার মতো কোনো দাবি তারা উত্থাপন করেনি। আমরা নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সরকার নিরপেক্ষভাবেই কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সমসাময়িক নানা ইস্যুতে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই কাজ করছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও অনৈক্য দেখা দেয়ার কারণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য বা বিবৃতির কারণে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কেন সংশয় রয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন উপদেষ্টা বলেন, মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না আমি জানি না। আমার মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো (নির্বাচন নিয়ে মানুষের সংশয়)।

তিনি বলেন, তবে আমার ধারণা যখন আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সকল সংশয় খুব দ্রুত আশা করি কেটে যাবে।

নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কি এ সরকারের নয়- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকার তো চেষ্টা করছে।’

তবে কি নির্বাচনের সময় এই উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।

দলীয় কেউ থাকলে তিনি যেন অন্তর্বর্তী সরকারের না থাকেন, সে বিষয়ে বিএনপি বলেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন উপদেষ্টা বলেন, সেটা তো ওনারা এর আগেও বলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আরও ক্লোজলি মনিটর (নিবিড় তদারকি) করবেন সেটা বলেছেন।

একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, আমি এ ব্যাপারে কমেন্ট করার মতো জায়গায় নেই। আমি জনপ্রশাসনের দায়িত্বে নেই।

জনপ্রশাসনের নিয়োগ-বদলি দলীয়ভাবে হয়, সেজন্য কি এই (প্রধান উপদেষ্টার নিবিড় তদারকি) প্রসঙ্গটি এসেছে? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, না, আমরা মনে করি না দলীয়ভাবে হয়।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সবদলই অভিযোগ করে। একদল বলে ওই দলের লোক আছে, আরেক দল বলে এই দলের লোক আছে। যেহেতু সবদলই অভিযোগ করে অন্য দলের লোক আছে, তার মানে হচ্ছে আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের উপস্থিত হওয়া অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার বলে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনা সদস্যরা যেভাবে এসেছেন বা যেভাবে ওনাদের নিয়ে আসা হয়েছে, এখানে সেনা প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেনাপ্রধান—ওনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এটা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তারা আইনে শাসনের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছেন এটা আমরা খুব পজিটিভলি (ইতিবাচকভাবে) দেখছি।

তাদের কারাগারে পাঠাতে আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, সাব জেলে কেন রাখা হয়েছে বা ওনাদের কোথায় রাখা হবে এটা সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়। ওনারা যেটা প্রয়োজন, যেটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট মনে করবেন এটা ওনারা করবেন। এটার জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।