Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন নস্যাৎ হয়নি : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন নস্যাৎ হয়নি বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেকেই ভাবে যে বিরোধী দলের আন্দোলন নস্যাৎ হয়ে গেছে, কখনই না। এই আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।

এ সময় চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই সংগ্রাম আরও বেগবান করব। আমরা বিশ্বাস করি এই আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পরাজয় নিয়ে আসব। আমাদের জাতীয় ঐক্য অবশ্যই আরও সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে, জনগণের শক্তির মধ্য দিয়ে পরাজিত করতে হবে এই ভয়াবহ দানবকে।

তিনি বলেন, মনে হয় না বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। মনে হয় পুরোপুরি একটি আধিপত্যবাদ সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। শুধু বিরোধীদল নয়, পেশাজীবী নয়, পুরো জাতি একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্মুখীন হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ বছর হবে আমরা গণতন্ত্রকে হারিয়ে ফেলেছি। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার।

তিনি বলেন, আমরা যাদের বিশ্বাস করি, যাদের ওপর আস্থা রাখি- গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমের ওপর প্রথম আঘাত করেছে সরকার। অনেক টেলিভিশন-পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যারা লিখতে চান, মতপ্রকাশ করতে চান, তাদের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে সরকার। তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে মারা হয়। এ সরকারের হাত থেকে গণমাধ্যমও রেহায় পায়নি, পায় না। ফ্যাসিবাদ শক্তি যখন আক্রমণ করে তখন কেউ রেহাই পায় না।

সরকার ব্যাংকসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচনী ব্যবস্থা সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা। একটি জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে হবে।

দেশের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। গোটা জাতি, শুধু কোনো রাজনৈতিক দল নয়, কোনো ব্যক্তি নয়। সমস্ত জাতি আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। একটা ভয়াবহ দৈত্য, সে সমস্ত আক্রোশ নিয়ে পুরো বাংলাদেশকে তছনছ করে দিচ্ছে।

বর্তমান সরকারের হাত থেকে গণমাধ্যম রেহাই পায়নি অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবগুলো প্রতিষ্ঠান আজকে ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যাদের ওপর বিশ্বাস করি, আস্থা রাখি—গণমাধ্যম। সবচেয়ে আগে আঘাত করা হয়েছে এই গণমাধ্যমকে। পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে, যারা লিখেন, সত্য কথা লিখেন, যারা লিখতে চান, লিখতে পারেন, তাদের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন আইন তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়, তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, এমনকি মেরেও ফেলা হয়।

ইফতার মাহফিলে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কবি আব্দুল হাই শিকদার, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিইউজে নেতা বাছির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান

বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন নস্যাৎ হয়নি : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন নস্যাৎ হয়নি বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেকেই ভাবে যে বিরোধী দলের আন্দোলন নস্যাৎ হয়ে গেছে, কখনই না। এই আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ।

এ সময় চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই সংগ্রাম আরও বেগবান করব। আমরা বিশ্বাস করি এই আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পরাজয় নিয়ে আসব। আমাদের জাতীয় ঐক্য অবশ্যই আরও সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে, জনগণের শক্তির মধ্য দিয়ে পরাজিত করতে হবে এই ভয়াবহ দানবকে।

তিনি বলেন, মনে হয় না বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। মনে হয় পুরোপুরি একটি আধিপত্যবাদ সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। শুধু বিরোধীদল নয়, পেশাজীবী নয়, পুরো জাতি একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্মুখীন হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ বছর হবে আমরা গণতন্ত্রকে হারিয়ে ফেলেছি। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার।

তিনি বলেন, আমরা যাদের বিশ্বাস করি, যাদের ওপর আস্থা রাখি- গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমের ওপর প্রথম আঘাত করেছে সরকার। অনেক টেলিভিশন-পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যারা লিখতে চান, মতপ্রকাশ করতে চান, তাদের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে সরকার। তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে মারা হয়। এ সরকারের হাত থেকে গণমাধ্যমও রেহায় পায়নি, পায় না। ফ্যাসিবাদ শক্তি যখন আক্রমণ করে তখন কেউ রেহাই পায় না।

সরকার ব্যাংকসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচনী ব্যবস্থা সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা। একটি জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে হবে।

দেশের বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। গোটা জাতি, শুধু কোনো রাজনৈতিক দল নয়, কোনো ব্যক্তি নয়। সমস্ত জাতি আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। একটা ভয়াবহ দৈত্য, সে সমস্ত আক্রোশ নিয়ে পুরো বাংলাদেশকে তছনছ করে দিচ্ছে।

বর্তমান সরকারের হাত থেকে গণমাধ্যম রেহাই পায়নি অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবগুলো প্রতিষ্ঠান আজকে ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যাদের ওপর বিশ্বাস করি, আস্থা রাখি—গণমাধ্যম। সবচেয়ে আগে আঘাত করা হয়েছে এই গণমাধ্যমকে। পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে, যারা লিখেন, সত্য কথা লিখেন, যারা লিখতে চান, লিখতে পারেন, তাদের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন আইন তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়, তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, এমনকি মেরেও ফেলা হয়।

ইফতার মাহফিলে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কবি আব্দুল হাই শিকদার, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিইউজে নেতা বাছির জামাল, রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।