Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ৭ আইনজীবী বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি ১৯ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর।

বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর এই আবেদনের শুনানি করা হবে।

আদালত অবমাননার শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের প্রবেশ মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এ আবেদনের শুনানি হবে ১৯ অক্টোবর। এসময় পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল-মিটিং করার ক্ষেত্রে আগের গাইড লাইন মেনে চলতে হবে।

এ আদেশের পর আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী বলেন, আগের নীতিমালা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না বিএনপির আইনজীবীরা।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপির সাত আইনজীবী নেতা হলেন-জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। ওই সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যেহেতু বেঞ্চ পুনর্গঠনের প্রয়োজন রয়েছে কাজেই ২৯ আগস্ট এ আবেদন শোনা যাবে না। তিনি তার সচিবের কাছে আবেদনটি জমা দিয়ে যেতে বলেন। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ সাতজনকে বিবাদী করে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে নাহিদ সুলতানা যুথি আবেদনটি করেন।

গত ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

আবহাওয়া

বিএনপির ৭ আইনজীবী বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি ১৯ অক্টোবর

প্রকাশের সময় : ১১:৫৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর।

বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর এই আবেদনের শুনানি করা হবে।

আদালত অবমাননার শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের প্রবেশ মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির ৭ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এ আবেদনের শুনানি হবে ১৯ অক্টোবর। এসময় পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল-মিটিং করার ক্ষেত্রে আগের গাইড লাইন মেনে চলতে হবে।

এ আদেশের পর আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী বলেন, আগের নীতিমালা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না বিএনপির আইনজীবীরা।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপির সাত আইনজীবী নেতা হলেন-জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। ওই সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যেহেতু বেঞ্চ পুনর্গঠনের প্রয়োজন রয়েছে কাজেই ২৯ আগস্ট এ আবেদন শোনা যাবে না। তিনি তার সচিবের কাছে আবেদনটি জমা দিয়ে যেতে বলেন। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ সাতজনকে বিবাদী করে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে নাহিদ সুলতানা যুথি আবেদনটি করেন।

গত ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।