Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, বিদেশিরাই তাদের ভরসা : হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দেশে ইইউর প্রতিনিধিরা এসেছেন। তাদের দেখিয়ে বিএনপি শোডাউন করতে চায়। আজ বিএনপির সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিদেশিরাই তাদের ভরসা। ষড়যন্ত্র আর বিষোদ্গার করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।

বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজকের এই সমাবেশ এমন একটা সময়ে হচ্ছে, যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে তখন বিএনপি-জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা আজ সমাবেশ ও শোডাউন করছে।

তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, মিথ্যাচার করছেন, করেন। আমরা বিদেশিদের কাছে যাবো না। যাবো, জনগণের কাছে। আমরা তাদের স্মরণ করে দেবো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার লাগামহীন দুর্নীতির কথা। স্মরণ করে দেবো, আপনাদের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা। তাদের কাছে তুলে ধরব যে, আপনারা (বিএনপি) যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখন কী করেছিলেন আর আমরা এখন কী করেছি। আমরা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার আমলে কীভাবে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। তারেক রহমান দেশের জনগণের টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি কীভাবে মানুষ হত্যা করেছিল, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সাড়ে তিন শ’ মানুষ হত্যা করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। আমরা দোশের জনগণকে বিএনপির এসব কুকর্ম স্মরণ করিয়ে দেবো।

হানিফ বলেন, আজ আপনারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলেন। ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে আক্রান্ত করেছেন, তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার? আমরা এগুলো জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেবো। আজ এক দফার আন্দোলন করতে চান। ২০১৪ সালেও তাই করেছেন। আপনাদের আন্দোলন ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

এসময় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের হোতা বিএনপিকে প্রতিহত করে নৌকার জয় নিশ্চিত করবো, এ হোক আমাদের শপথ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। প্রধান অতিথি রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য রেখেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ শীর্ষ নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

বিএনপির সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, বিদেশিরাই তাদের ভরসা : হানিফ

প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দেশে ইইউর প্রতিনিধিরা এসেছেন। তাদের দেখিয়ে বিএনপি শোডাউন করতে চায়। আজ বিএনপির সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিদেশিরাই তাদের ভরসা। ষড়যন্ত্র আর বিষোদ্গার করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।

বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজকের এই সমাবেশ এমন একটা সময়ে হচ্ছে, যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে তখন বিএনপি-জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা আজ সমাবেশ ও শোডাউন করছে।

তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, মিথ্যাচার করছেন, করেন। আমরা বিদেশিদের কাছে যাবো না। যাবো, জনগণের কাছে। আমরা তাদের স্মরণ করে দেবো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার লাগামহীন দুর্নীতির কথা। স্মরণ করে দেবো, আপনাদের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা। তাদের কাছে তুলে ধরব যে, আপনারা (বিএনপি) যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখন কী করেছিলেন আর আমরা এখন কী করেছি। আমরা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার আমলে কীভাবে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। তারেক রহমান দেশের জনগণের টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি কীভাবে মানুষ হত্যা করেছিল, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সাড়ে তিন শ’ মানুষ হত্যা করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। আমরা দোশের জনগণকে বিএনপির এসব কুকর্ম স্মরণ করিয়ে দেবো।

হানিফ বলেন, আজ আপনারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলেন। ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে আক্রান্ত করেছেন, তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার? আমরা এগুলো জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেবো। আজ এক দফার আন্দোলন করতে চান। ২০১৪ সালেও তাই করেছেন। আপনাদের আন্দোলন ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

এসময় নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের হোতা বিএনপিকে প্রতিহত করে নৌকার জয় নিশ্চিত করবো, এ হোক আমাদের শপথ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। প্রধান অতিথি রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য রেখেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ শীর্ষ নেতারা।