নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির শান্তির রাজনীতি করে, বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে’ এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
মঈন খান বলেন, আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকব। আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি- আমরা বাংলাদেশে রাজনীতি করবো নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পথে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাকশালে বিশ্বাস করে না। বিএনপির শান্তির রাজনীতি করে, বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮ কোটির মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনবো, ততক্ষণ ঠিক এভাবেই আমরা রাজপথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যারা আমরা নির্বাচনকে বর্জন করেছি। আমরা সবাই মিলে যে শপথ নিয়েছি, সেটা হচ্ছে- বাংলাদেশে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-যাত্রার মান আমরা উন্নত করবো। আমরা এই আর্দশে রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
ড. মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে এখানে একটি প্রহসনের নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ সেই নির্বাচনকে বর্জন করেছে। আর এখানে কোনো নির্বাচন হয় নাই। এখানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন হয়েছে। এটা শুধু বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ শুধু বলে নাই, আওয়ামী লীগের যারা ভোটার ছিলো, তারাও এই নির্বাচনে যায় নাই। কারণ তারা জানে, এই নির্বাচনে কে নির্বাচিত হবে এবং কে হবে না, এটা ভোট দিয়ে নির্ধারিত হবে না, এটা নির্ধারিত হয়েছে রাজধানী থেকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, সরকার বলছে, বাংলাদেশ না কি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ হয়ে থাকে তাহলে সেদেশে আজকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমাসে দাঁড়িয়ে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে হচ্ছে। কোথায় সেই উন্নয়ন? কার জন্য সেই উন্নয়ন? এই প্রশ্ন আজকে করতে হবে।
জেটেবের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন আখন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী জাহানারা বেগম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।