নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে শ্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা সত্ত্বেও ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসেছে। আমি জানি আমাদের নির্বাচন কেমন হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী অপশক্তি নির্বাচন বানচালের সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আজ দাবি করতে পারি, আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে। এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন নির্বাচিত সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন সম্ভব। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হত। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও নির্বাচন ভোটার শূন্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়নি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা করছে। অগণতান্ত্রিক পন্থায় অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসাতে দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল। এখন যে নেই, সেটাও বলা যায় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করতো, নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন অংশগ্রহণহীন বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনও হয়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪০ শতাংশের ওপর ভোট দিতে দেখা যায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা বিশ্বে একটা সর্বোগ্রাসী সংকট সবাইকে ঘিরে ধরেছে। যুদ্ধ তো লেগেই আছে। আমাদের এখানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। অতীতে আমরা এত শীত দেখিনি। আমাদের অভিজ্ঞতা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মূল সংকট আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পেরিয়ে এসেছি। প্রকৃতিক যে সংকট, তার ইতি কোথায় আমরা জানি না। আমাদের সবারই ধৈর্য ধারণ করা উচিত। দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় আপনারা কেন বলছেন! এখন যে আপাতত সহিংসতা বন্ধ আছে। এটা পার্মানেন্ট? এমন কথা এখনো বলা যায় না। এখন হয়ত তারা প্রস্তুত হচ্ছে বড় ধরণের সংহিতার। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাইরে কথা বলছে। তারা শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরণের সহিংসতার।
তিনি বলেন, মূল সংকট আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে পেরিয়ে এসেছি। প্রকৃতিক যে সংকট, তার ইতি কোথায় আমরা জানি না। আমাদের সকলেরই ধৈর্য্য ধারণ করা উচিত। দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন দেশের সকল সমস্যা নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের ভাবনা।
তিনি আরও বলেন, আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটা বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যের সমালোচনা করব না। নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন কমিশন হিসেবে সংকটে একটা দায়িত্ব পালন করেছে।
মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, তার এই মিথ্যা বক্তব্যকে নিজের মুখে কলঙ্ক লেপে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে বিশ্ববাসী সাজানো নাটক বলছে। কোন দেশ বলেছে? বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী দেশগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন দেশের সকল সমস্যা নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের ভাবনা। খুব নিচু স্তরের সমালোচনা হচ্ছে, এগুলো নিয়ে মাথা ঘামালে আমরা সামনে এগুতে পারবো না। সমানে আমাদের রমজান আসছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা কাজ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।