Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি কেউ সমর্থন করে না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি কেউ সমর্থন করে না। যে কারণে এখন তারা সুর পরিবর্তন করেছেন। তারা বলছেন- ভারত, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য কী বললো, তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতি জঙ্গি আটক হবার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন- আন্দোলনে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য নাকি জঙ্গি নাটক করা হয়েছে। যেমন চেয়ারম্যান তেমন মহাসচিব। যখন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিল তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় কিছুদিন আটক রাখা হয় তারপরে যখন তাদের চুল দাড়ি লম্বা হয় তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। একইভাবে এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য জঙ্গি নাটক সাজানো হচ্ছে। এসব ঘটনাতেই প্রমাণিত হয় জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির নেতারা।

তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারিনি, তবে জঙ্গি দমন করেছি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা না করতো। জঙ্গিগোষ্ঠীকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদেরকে কোনো বিদেশি শক্তি সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গি সমর্থক, জঙ্গিদের লালন পালন করে, কোনো বিদেশি শক্তি তাদের সমর্থন করে না। আর আপনারা জানেন তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেয়নি। ভিসা না দেওয়ার জন্য এখান থেকে তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল। এখানকার মার্কিন দূতাবাস থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল তারেক রহমান একজন জঘন্য প্রকৃতির মানুষ তাকে যেন ভিসা না দেওয়া হয়। সুতরাং সেই তারেক রহমান যখন সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয় সে দলকে কেউ সমর্থন করতে পারে না। কানাডার আদালত বিএনপিকে পরপর পাঁচবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিপার্টমেন্টও বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। বিদেশিদের পেছনে ঘুরে কোনো লাভ হয়নি। তাই বিএনপি এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। তারা লাখো ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। এরমধ্যে কয়েকটা বিবৃতি দিয়েছিল। একেকটা বিবৃতির পেছনে কয়েক লাখ ডলার খরচ হয়েছে। কংগ্রেসম্যানরা বিবৃতি দিল। তারা বিবৃতি দেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে যখন প্রশ্ন করা হলো কংগ্রেসম্যানরা একটা বিবৃতি দিয়েছে তোমরা কিছু জানো কিনা ? তারা বলল আমরা তো কিছু জানি না। অথচ এই চিঠি লেখার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। তাই এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এতো বিদেশিদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ হয় নাই। বিএনপির দাবি কেউ সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, এরজন্যই বিএনপির সুর এখন ভিন্ন। তারা এখন বলছে, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন কি বলল আসে যায় না। এখন সুরটা আরেক রকম হয়ে গিয়েছে। তাদের সাথে কেউ নাই। এখানে ফখরুল সাহেব লাফালাফি করলেও কিছু আসে যায় না, গয়েশ্বর বাবু অভিনয় করলেও কিছু আসে যায় না, আমান উল্লাহ আমান অচেতন হওয়ার ভান করলেও কিছু আসে যায় না। তাদের সাথে কেউ নাই।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি কেউ সমর্থন করে না : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি কেউ সমর্থন করে না। যে কারণে এখন তারা সুর পরিবর্তন করেছেন। তারা বলছেন- ভারত, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য কী বললো, তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতি জঙ্গি আটক হবার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন- আন্দোলনে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য নাকি জঙ্গি নাটক করা হয়েছে। যেমন চেয়ারম্যান তেমন মহাসচিব। যখন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিল তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় কিছুদিন আটক রাখা হয় তারপরে যখন তাদের চুল দাড়ি লম্বা হয় তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। একইভাবে এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য জঙ্গি নাটক সাজানো হচ্ছে। এসব ঘটনাতেই প্রমাণিত হয় জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির নেতারা।

তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারিনি, তবে জঙ্গি দমন করেছি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা না করতো। জঙ্গিগোষ্ঠীকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদেরকে কোনো বিদেশি শক্তি সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গি সমর্থক, জঙ্গিদের লালন পালন করে, কোনো বিদেশি শক্তি তাদের সমর্থন করে না। আর আপনারা জানেন তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেয়নি। ভিসা না দেওয়ার জন্য এখান থেকে তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল। এখানকার মার্কিন দূতাবাস থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল তারেক রহমান একজন জঘন্য প্রকৃতির মানুষ তাকে যেন ভিসা না দেওয়া হয়। সুতরাং সেই তারেক রহমান যখন সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয় সে দলকে কেউ সমর্থন করতে পারে না। কানাডার আদালত বিএনপিকে পরপর পাঁচবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিপার্টমেন্টও বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। বিদেশিদের পেছনে ঘুরে কোনো লাভ হয়নি। তাই বিএনপি এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। তারা লাখো ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। এরমধ্যে কয়েকটা বিবৃতি দিয়েছিল। একেকটা বিবৃতির পেছনে কয়েক লাখ ডলার খরচ হয়েছে। কংগ্রেসম্যানরা বিবৃতি দিল। তারা বিবৃতি দেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে যখন প্রশ্ন করা হলো কংগ্রেসম্যানরা একটা বিবৃতি দিয়েছে তোমরা কিছু জানো কিনা ? তারা বলল আমরা তো কিছু জানি না। অথচ এই চিঠি লেখার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। তাই এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এতো বিদেশিদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ হয় নাই। বিএনপির দাবি কেউ সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, এরজন্যই বিএনপির সুর এখন ভিন্ন। তারা এখন বলছে, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন কি বলল আসে যায় না। এখন সুরটা আরেক রকম হয়ে গিয়েছে। তাদের সাথে কেউ নাই। এখানে ফখরুল সাহেব লাফালাফি করলেও কিছু আসে যায় না, গয়েশ্বর বাবু অভিনয় করলেও কিছু আসে যায় না, আমান উল্লাহ আমান অচেতন হওয়ার ভান করলেও কিছু আসে যায় না। তাদের সাথে কেউ নাই।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।