নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির কোনো সভায় বা কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি। তবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি বা জানমালের ক্ষতি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল সমাবেশ করবে, সেখানে আমাদের কোনো বাধা নেই। কোন দল সমাবেশ করলো বা করলো না সেটি নিয়ে আমাদের বাধা নেই। আমরা শুধু দেখি কেউ যাতে জনগণের জানমালের ক্ষতি না করে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিচ্ছে। কেউ নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাবেশ করলে আমাদের বাধা নেই।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা কর্মসূচির বিষয়ে আসাদুজ্জামান খানবলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা নেই। তবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ব্যবস্থা নেবে। তারা (বিএনপি) গতকাল ও পরশু সমাবেশ করেছে। এসব সমাবেশ জনগণের জন্য কি উপকার বয়ে আনবে সেটি তারা (বিএনপি) ও জনগণ বুঝবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় তাদের (বিএনপি) বলে আসছে আপনারা এগুলো (ভাঙচুর) করবেন না। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়মতান্ত্রিকভাবে করুন। আমরা তাদের কোনো সমাবেশ, আন্দোলন, পদযাত্রায় বাধা দেইনি। আমরা সবসময় বলে আসছি, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কিংবা ভাঙচুর করলে, কিংবা অগ্নিসংযোগ করলে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, কেউ আন্দোলন সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কিংবা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করলে নিরাপত্তাবাহিনী বসে থাকবে না। তাদের ওপর যে দায়িত্ব, সেটি তারা পালন করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের প্রচারণা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে। সেখানে আমাদের কোনো বাধা নেই। কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ করলে, মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ বা অবরুদ্ধ করলে, সেটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪-১৫ সালে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে তারা (বিএনপি) প্রচেষ্টা নিয়েছিল ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার। নিরীহ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ থেকে শুরু করে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখেছি। তারই একটি প্রচেষ্টা কালকে (শনিবার) আমরা দেখেছি। তারা (বিএনপি) বলেছে, তারা অবস্থান করবে। কিন্তু অবস্থান বাদ দিয়ে তারা বড় রাস্তা, রাজপথের ওপর এসেছিল। এসে ভাঙচুর শুরু করেছে। ছয়টি বাসে তারা ভাঙচুর করেছে। অনেক গাড়িতে ঢিল মেরে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা নিয়েছে। আমরা মনে করি তারা আইন বিরোধী কার্যকলাপ করেছে। সেজন্য আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, প্রশাসন সেগুলো নিচ্ছে।