Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির কোনো শর্তযুক্ত সংলাপে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির কোনো শর্তযুক্ত সংলাপে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপসহ পাঁচটি সুপারিশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপের চিন্তা করবো তখন যখন তারা (বিএনপি) চারটি শর্ত প্রত্যাহার করে নেবে। শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। শর্ত তারা প্রত্যাহার করলে দেখা যাবে।

তিনি বলেন, সংলাপ সম্পর্কে কোনো কথা বলেনি মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। শর্তযুক্ত কোনো আলোচনায় বসবে না আওয়ামী লীগ। এর বাইরে যে পরামর্শ তাতে সরকারের আপত্তি নেই। ওগুলো নিয়ে আমরা সবাই একমত।

শর্তমুক্তভাবে বিএনপি সংলাপ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে কি না, এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন চিন্তা করে দেখবো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল) তো আমাদের সঙ্গে কথা বলে গেলো। বিশদ আলোচনা হয়েছে, নির্বাচন সম্পর্কিত যেসব বিষয় আছে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার করা- সে অবস্থানে আমরা আছি এবং আমরা সেটি বলেছি।

তিনি বলেন, অন্যান্য যে বিষয়গুলো সেগুলো নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এগুলো আমরা সবাই একমত। ইলেকশন রিলেটেড অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ, ইলেকশনকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের (পর্যবেক্ষক দল) অন্য যে ভিউজ এবং যে প্রস্তাব সেখানে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।

মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এখানে নির্বাচনকালীন পরিবেশ তারপর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে অংশগ্রহণকারী দলের যে সুযোগ-সুবিধা সে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। আমাদের প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করলে কার সঙ্গে আলোচনা করবে? রাষ্ট্রপতি আলোচনা করতে চেয়েছেন সেই আলোচনাও তারা বাতিল করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরপর তারা দুইবার আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে নির্বাচনের বিষয়ে যেভাবে বিধি-বিধান রয়েছে, সেগুলো মেনে আমরা নির্বাচন করব। দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরা ঠিক সেভাবেই নির্বাচন করব।

পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ নিয়ে স্পেসিফিক কোনো আলোচনা তারা করেনি। এখন যদি তারা মনে করেন এটা তাদের ব্যাপার, তারা বলতে পারেন। সংলাপ তো একপক্ষ করবে না। বিএনপি বলছে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়, সংসদ ভেঙে দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চায়। আমরা তো এই শর্তযুক্ত সংলাপে রাজি হবো না।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মনে করলে মন্ত্রিপরিষদ ছোট হতে পারে। তিনি মনে করলে এখন যেভাবে আছে মন্ত্রিপরিষদ এমনও থাকতে পারে। তবে এর সিদ্ধান্ত হবে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর।

নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার একটা থাকতে পারে। গতবার যেভাবে (মন্ত্রিসভা) ছিল ওটাই নির্বাচনকালীন সরকার ছিল। এটার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন মন্ত্রিসভা ছোট করা দরকার বা যেভাবে রয়েছে সেভাবে থাকা দরকার, এটা তার এখতিয়ার।

আপনি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বিষয়টি জানেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই এই আলাপ করার তো সময় না। সিডিউল ডিক্লেয়ার (তফসিল ঘোষণা) হলে হতে পারে।

তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন আমরা শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক করবো।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশন করবে। সংবিধান অনুযায়ী তাদের চাহিদা আইন অনুযায়ী দিতে আমরা বাধ্য। এসপি, ডিসি যদি বদল করার দরকার হয়, সেটাও তারা করতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বিএনপির কোনো শর্তযুক্ত সংলাপে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির কোনো শর্তযুক্ত সংলাপে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপসহ পাঁচটি সুপারিশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপের চিন্তা করবো তখন যখন তারা (বিএনপি) চারটি শর্ত প্রত্যাহার করে নেবে। শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। শর্ত তারা প্রত্যাহার করলে দেখা যাবে।

তিনি বলেন, সংলাপ সম্পর্কে কোনো কথা বলেনি মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। শর্তযুক্ত কোনো আলোচনায় বসবে না আওয়ামী লীগ। এর বাইরে যে পরামর্শ তাতে সরকারের আপত্তি নেই। ওগুলো নিয়ে আমরা সবাই একমত।

শর্তমুক্তভাবে বিএনপি সংলাপ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে কি না, এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন চিন্তা করে দেখবো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল) তো আমাদের সঙ্গে কথা বলে গেলো। বিশদ আলোচনা হয়েছে, নির্বাচন সম্পর্কিত যেসব বিষয় আছে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার করা- সে অবস্থানে আমরা আছি এবং আমরা সেটি বলেছি।

তিনি বলেন, অন্যান্য যে বিষয়গুলো সেগুলো নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এগুলো আমরা সবাই একমত। ইলেকশন রিলেটেড অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ, ইলেকশনকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের (পর্যবেক্ষক দল) অন্য যে ভিউজ এবং যে প্রস্তাব সেখানে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।

মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এখানে নির্বাচনকালীন পরিবেশ তারপর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে অংশগ্রহণকারী দলের যে সুযোগ-সুবিধা সে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। আমাদের প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করলে কার সঙ্গে আলোচনা করবে? রাষ্ট্রপতি আলোচনা করতে চেয়েছেন সেই আলোচনাও তারা বাতিল করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরপর তারা দুইবার আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে নির্বাচনের বিষয়ে যেভাবে বিধি-বিধান রয়েছে, সেগুলো মেনে আমরা নির্বাচন করব। দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরা ঠিক সেভাবেই নির্বাচন করব।

পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ নিয়ে স্পেসিফিক কোনো আলোচনা তারা করেনি। এখন যদি তারা মনে করেন এটা তাদের ব্যাপার, তারা বলতে পারেন। সংলাপ তো একপক্ষ করবে না। বিএনপি বলছে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়, সংসদ ভেঙে দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চায়। আমরা তো এই শর্তযুক্ত সংলাপে রাজি হবো না।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মনে করলে মন্ত্রিপরিষদ ছোট হতে পারে। তিনি মনে করলে এখন যেভাবে আছে মন্ত্রিপরিষদ এমনও থাকতে পারে। তবে এর সিদ্ধান্ত হবে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর।

নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কেমন হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার একটা থাকতে পারে। গতবার যেভাবে (মন্ত্রিসভা) ছিল ওটাই নির্বাচনকালীন সরকার ছিল। এটার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন মন্ত্রিসভা ছোট করা দরকার বা যেভাবে রয়েছে সেভাবে থাকা দরকার, এটা তার এখতিয়ার।

আপনি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বিষয়টি জানেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনই এই আলাপ করার তো সময় না। সিডিউল ডিক্লেয়ার (তফসিল ঘোষণা) হলে হতে পারে।

তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন আমরা শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক করবো।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশন করবে। সংবিধান অনুযায়ী তাদের চাহিদা আইন অনুযায়ী দিতে আমরা বাধ্য। এসপি, ডিসি যদি বদল করার দরকার হয়, সেটাও তারা করতে পারে।