Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলা : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সমাবেশের পরদিন ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের পরের দিন তারা কেন অবরোধ কর্মসূচির দিল? এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলা। লন্ডন থেকে তারেক রহমান সেই নির্দেশই দিয়েছেন। বিএনপি যে বিশৃঙ্খলা করেছে তাতে আজকেই তাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিৎ।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা উত্তেজনায় যাব না। আমরা নির্বাচন চাই। তারা যে করেই হোক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি থাকবে, তবে ধরন পাল্টাবে। নির্বাচন পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি নেই। আমরা মাঠে আছি।

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কাদের বলেন, পুলিশ তো বাধা দিবেই। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দিলে পুলিশ তো বসে থাকতে পারে না।। নির্বাচনের আগে ও পরে সরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গোলাপবাগে হোঁচট খেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই গেলো। অনুমতি নিয়েই তো গেলো। অনুমতি আর নেবো না। দখল করে ফেলছি ঢাকা, বাংলাদেশ। এত সোজা রাজনীতি? তাদের উদ্দেশ্য তারা দেশে লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর যে হামলাটা, পুলিশ তো বাধা দেবেই। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রবেশ পথের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ চুপ করে থাকবে? এটি পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা-চলাচল উন্মুক্ত রাখা।

তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ গেটে তারা নয়া পল্টনে ঠিক তার পরের দিন ঢাকার প্রবেশ মুখে। ঢাকায় প্রবেশের মুখ বন্ধ করে দিবে এটা কেন… ভিসানীতি তো তাদের উপর কার্যকর করা উচিৎ। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য ভয়াবহ।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় আর বিএনপি যে কোন পরিস্থিতি তৈরি করে শেখ হাসিনাকে সরাতে চায়। আমরা এটা চাই না। আমরা চাই একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। জনগণ চাইলে আমরা থাকবো না হলে বিদায় নেবো।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশ কিভাবে দেখেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, তো হয়েছে কি? যা সত্য সেটা আসছে, অসুবিধা কি? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নাই। কেউ সাজিয়ে দিয়েছে কিনা সেটা ভিন্ন খবর। উনি তো রুই মাছ দিয়ে ভালো করেই খাইছেন।

গোয়েন্দা প্রধানের দপ্তরে খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 
উনি কেন খাইলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এতো ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কিসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসাথে। আন্দোলনে হয়তো উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানরে সৌজন্য, একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারেন। সে একটু অসুস্থ হইছেন ফল পাঠানো নিয়ম, রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না।খাওয়ানোর পর তা ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কিনা, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কি রাজনৈতিক লোকেরা করছে? আরে গোয়েন্দার কাজই তো এমন। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। বিপ্লব বড়ুয়া আর আরাফাত গিয়ে তো করে নাই।

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার সরকারের পথেই আছে। সরকারের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা। নির্বাচনের আগেও, নির্বাচনের পরেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। পারছেন না তো, প্রশ্নে তিনি বলেন, কেন পারবো না, গতকাল যে ঘটনা ঘটে গেল। অ্যাপায়নের পরে তাদের কর্মীদের অবস্থা কী? খবর নেই। সেই মুড আছে? সবাইকে অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকায় আসতে বলেছে তারা। বেচারারা জামাকাপড় নিয়ে এসে থাকতে পারলো না, ফিরে গেল। টাকাও শেষ-দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।

তবে আওয়ামী লীগ কোনো উত্তেজনায় যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, উত্তেজিত হলে তো আমাদের চলবে না। আমরা সরকারি দল। তারা যে কোনো মূল্যে যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এটি তাদের টার্গেট। আমাদের তো সেই টার্গেট নেই। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আবারও ক্ষমতায় থাকবো, জনগণ না চাইলে থাকবো না নিয়মানুযায়ী।

এক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশের কার্যক্রমের একটা সীমা রয়েছে। ভিয়েনা কনভেনশনে কিছু নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী চললে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা সব কিছু নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, এটা (বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনাদের হস্তক্ষেপ) ভিয়েনা কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর বাইরে তো আমরা তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারি না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপির উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলা : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:২০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সমাবেশের পরদিন ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের পরের দিন তারা কেন অবরোধ কর্মসূচির দিল? এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলা। লন্ডন থেকে তারেক রহমান সেই নির্দেশই দিয়েছেন। বিএনপি যে বিশৃঙ্খলা করেছে তাতে আজকেই তাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিৎ।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা উত্তেজনায় যাব না। আমরা নির্বাচন চাই। তারা যে করেই হোক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি থাকবে, তবে ধরন পাল্টাবে। নির্বাচন পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি নেই। আমরা মাঠে আছি।

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কাদের বলেন, পুলিশ তো বাধা দিবেই। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দিলে পুলিশ তো বসে থাকতে পারে না।। নির্বাচনের আগে ও পরে সরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গোলাপবাগে হোঁচট খেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই গেলো। অনুমতি নিয়েই তো গেলো। অনুমতি আর নেবো না। দখল করে ফেলছি ঢাকা, বাংলাদেশ। এত সোজা রাজনীতি? তাদের উদ্দেশ্য তারা দেশে লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর যে হামলাটা, পুলিশ তো বাধা দেবেই। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রবেশ পথের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ চুপ করে থাকবে? এটি পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা-চলাচল উন্মুক্ত রাখা।

তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ গেটে তারা নয়া পল্টনে ঠিক তার পরের দিন ঢাকার প্রবেশ মুখে। ঢাকায় প্রবেশের মুখ বন্ধ করে দিবে এটা কেন… ভিসানীতি তো তাদের উপর কার্যকর করা উচিৎ। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য ভয়াবহ।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় আর বিএনপি যে কোন পরিস্থিতি তৈরি করে শেখ হাসিনাকে সরাতে চায়। আমরা এটা চাই না। আমরা চাই একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। জনগণ চাইলে আমরা থাকবো না হলে বিদায় নেবো।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশ কিভাবে দেখেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, তো হয়েছে কি? যা সত্য সেটা আসছে, অসুবিধা কি? যেটা সত্য এটা আসছে, সেটা তো আর কিছু বলার নাই। কেউ সাজিয়ে দিয়েছে কিনা সেটা ভিন্ন খবর। উনি তো রুই মাছ দিয়ে ভালো করেই খাইছেন।

গোয়েন্দা প্রধানের দপ্তরে খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 
উনি কেন খাইলেন এটা জিজ্ঞেস করেন। এতো ক্ষুধা রাজনীতিক নেতার? কিসের রাজনীতিক? তিন দিনও খাইনি আমরা একসাথে। আন্দোলনে হয়তো উনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা লাগছে উনি খেয়েছেন। আমানরে সৌজন্য, একজন রাজনৈতিক কর্মী, তার কাছে নেত্রী কিছু ফল পাঠিয়েছেন, এটি পাঠাতেই পারেন। সে একটু অসুস্থ হইছেন ফল পাঠানো নিয়ম, রাজনীতিতে সৌজন্যতা তো বিদায় নেবে না।খাওয়ানোর পর তা ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কিনা, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কি রাজনৈতিক লোকেরা করছে? আরে গোয়েন্দার কাজই তো এমন। গোয়েন্দা গোয়েন্দাই। সে তো তথ্য নিয়ে বের করার জন্য বসে আছে। বিপ্লব বড়ুয়া আর আরাফাত গিয়ে তো করে নাই।

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার সরকারের পথেই আছে। সরকারের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা। নির্বাচনের আগেও, নির্বাচনের পরেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। পারছেন না তো, প্রশ্নে তিনি বলেন, কেন পারবো না, গতকাল যে ঘটনা ঘটে গেল। অ্যাপায়নের পরে তাদের কর্মীদের অবস্থা কী? খবর নেই। সেই মুড আছে? সবাইকে অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকায় আসতে বলেছে তারা। বেচারারা জামাকাপড় নিয়ে এসে থাকতে পারলো না, ফিরে গেল। টাকাও শেষ-দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।

তবে আওয়ামী লীগ কোনো উত্তেজনায় যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, উত্তেজিত হলে তো আমাদের চলবে না। আমরা সরকারি দল। তারা যে কোনো মূল্যে যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এটি তাদের টার্গেট। আমাদের তো সেই টার্গেট নেই। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আবারও ক্ষমতায় থাকবো, জনগণ না চাইলে থাকবো না নিয়মানুযায়ী।

এক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশের কার্যক্রমের একটা সীমা রয়েছে। ভিয়েনা কনভেনশনে কিছু নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী চললে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা সব কিছু নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, এটা (বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনাদের হস্তক্ষেপ) ভিয়েনা কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর বাইরে তো আমরা তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারি না।