Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির অফিসে পুলিশ তালা দেয়নি, তারা নিজেরাই তালা দিয়ে পালিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটা তালা খোলার লোক বিএনপির নাই। পুলিশ তালা দেয়নি, তারা নিজেরাই অফিসে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অফিস উদ্বোধন ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এই শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরাই তালা মেরে পালিয়ে গেছেন। কিছু কিছু পত্রিকা লিখেছে বিএনপির অফিসে তালা। বিএনপির অফিসে তো প্রশাসন তালা মারে নাই। তারা নিজেরাই তালা মেরে পালিয়ে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষও নাই তাদের। একটা রাজনৈতিক দলের সেই সাহস নেই যে তালা ভেঙে অফিসে গিয়ে বসবে। তারা কীভাবে রাজনীতি করবে। আমার মনে আছে, বিএনপি আমাদের অফিসে তালা মেরেছিল। আমরা তালা ভেঙে অফিসে গিয়ে বসেছিলাম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কর্মসূচির নামে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে বিএনপি। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে। আপনারা (সাংবাদিক) নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে লেখেন। তারা ভেবেছিল জ্বালাও-পোড়াও করে নির্বাচন পেছাবে। বিএনপিকে কেউ কেউ বাতাস দিচ্ছে। যারা বাতাস দিয়েছে তাদের বাতাস ফুরিয়ে গেছে। তারা ভেবেছিল এগুলো করে নির্বাচন ঠেকিয়ে দেবে। কিন্তু নির্বাচন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণের অংশগ্রহণে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির জোট থেকে এখন সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। তারা নাকি জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। অথচ তাদের জোট থেকে তিনটা নিবন্ধিত দলসহ ছয়টি দল বেরিয়ে গেছে। এরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছে। যেভাবে তৃণমূল বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। আমার শঙ্কা হয়, বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যারা সরকার পতন আন্দোলন করে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে; তারা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা পেয়েছে এবং পাবে। ২৮ অক্টোবর ৩২ জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২০ জন বিএনপি বিটের সাংবাদিক। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশে আগে কখনও ঘটেনি। ক্ষমতাকালে বিএনপি ৭ বছরে বহু সাংবাদিককে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। কর্মসূচির নামে গাড়িতে আগুন দেয়া কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয় বলে জানান তিনি।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ভরসার স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সাংবাদিকবান্ধব তা প্রমাণিত। তিনিই প্রথম কল্যাণ ট্রাস্টের ধারণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন সবাই যেন দলমত নির্বিশেষে তার প্রাপ্য অনুযায়ী সহায়তা পায়। তাই যারা প্রেস ক্লাবের সামনে বসে সরকারের পতন চায়, আমরা তাদেরও সহায়তা দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ১৮৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

বিএনপির অফিসে পুলিশ তালা দেয়নি, তারা নিজেরাই তালা দিয়ে পালিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটা তালা খোলার লোক বিএনপির নাই। পুলিশ তালা দেয়নি, তারা নিজেরাই অফিসে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অফিস উদ্বোধন ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এই শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরাই তালা মেরে পালিয়ে গেছেন। কিছু কিছু পত্রিকা লিখেছে বিএনপির অফিসে তালা। বিএনপির অফিসে তো প্রশাসন তালা মারে নাই। তারা নিজেরাই তালা মেরে পালিয়ে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষও নাই তাদের। একটা রাজনৈতিক দলের সেই সাহস নেই যে তালা ভেঙে অফিসে গিয়ে বসবে। তারা কীভাবে রাজনীতি করবে। আমার মনে আছে, বিএনপি আমাদের অফিসে তালা মেরেছিল। আমরা তালা ভেঙে অফিসে গিয়ে বসেছিলাম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কর্মসূচির নামে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে বিএনপি। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে। আপনারা (সাংবাদিক) নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে লেখেন। তারা ভেবেছিল জ্বালাও-পোড়াও করে নির্বাচন পেছাবে। বিএনপিকে কেউ কেউ বাতাস দিচ্ছে। যারা বাতাস দিয়েছে তাদের বাতাস ফুরিয়ে গেছে। তারা ভেবেছিল এগুলো করে নির্বাচন ঠেকিয়ে দেবে। কিন্তু নির্বাচন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণের অংশগ্রহণে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির জোট থেকে এখন সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। তারা নাকি জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। অথচ তাদের জোট থেকে তিনটা নিবন্ধিত দলসহ ছয়টি দল বেরিয়ে গেছে। এরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছে। যেভাবে তৃণমূল বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। আমার শঙ্কা হয়, বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যারা সরকার পতন আন্দোলন করে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে; তারা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা পেয়েছে এবং পাবে। ২৮ অক্টোবর ৩২ জন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২০ জন বিএনপি বিটের সাংবাদিক। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশে আগে কখনও ঘটেনি। ক্ষমতাকালে বিএনপি ৭ বছরে বহু সাংবাদিককে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। কর্মসূচির নামে গাড়িতে আগুন দেয়া কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয় বলে জানান তিনি।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের ভরসার স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সাংবাদিকবান্ধব তা প্রমাণিত। তিনিই প্রথম কল্যাণ ট্রাস্টের ধারণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন সবাই যেন দলমত নির্বিশেষে তার প্রাপ্য অনুযায়ী সহায়তা পায়। তাই যারা প্রেস ক্লাবের সামনে বসে সরকারের পতন চায়, আমরা তাদেরও সহায়তা দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ১৮৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।