Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের আদর্শ স্কুল মাঠে বিএনপি জামায়াতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় তারা দৌড়ঝাঁপ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিও আসবে। অনেক দল আসবে। দলের অভাব হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এ দেশে হবেই।

বিএনপির নিজেদের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন হবে, ইনশাল্লাহ। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ফল তারা জানে। এখন বিএনপির অনেক নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে জায়গায় জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে তাদের হেরে যাওয়ার ভয়। এ জন্য তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। টাকা-পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে। এত টাকা তারা কোথায় পায়? আজকে আমেরিকায় লবিস্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের লবিস্ট, এসব লবিংয়ের কোনো হিসাব নেই।

নির্বাচনের আগে কোন দেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয় এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে পার্লামেন্ট ভাঙ্গবে। আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে চলব। কারো পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে।

নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থাশীল এমন দাবি করে তিনি বলেন, সেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি এখন বেসামাল হয়ে পদযাত্রায়। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতন যাত্রায় রুপ নিবে। বিএনপির আর কোন পথ নেই।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন থেমে থাকবে না। বাইরের দেশের হস্তক্ষেপে আমরা নির্বাচন চাই না। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। নিয়ম-কানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরামর্শ লাগবে না শেখ হাসিনা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বেগম জিয়ার সময় তারা নিজেরাই আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন বানিয়েছিল। এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পার্লামেন্টের আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে প্রস্তুতি সেখানে কোনো ত্রুটি নেই। আমরা নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা কারো পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক আনতে চাইলে নিয়মমাফিক পর্যবেক্ষক আসবে। বিএনপি এখন সব হারিয়েছে। তারা এখন বেসামাল পদযাত্রা করতে। এ পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতনযাত্রায় রূপ নেবে। বিএনপির আর কোনো উপায় নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস শুরু করছে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, যেই হাতে হামলা করবে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাতে আগুন লাগাতে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। ধৈর্য আর কতকাল করব। যারা এ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, যারা পরপর কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। অপশক্তির হাতে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না। তারা ক্ষমতা থাকতে ভোট চুরি করছে। ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। আর নয় খালেদা জিয়ার দুঃশাসন, এটাই আমাদের শপথ।

দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে বিএনপি জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা এ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, যারা পরপর কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে; সেই অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তির হাতে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না। তাদের হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব, নিরাপত্তা ও ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তারা (বিএনপি) এদেশকে রক্তের দরিয়া বানিয়েছিল। লুটাপাটের জন্য তারা হাওয়া ভবন বানিয়েছিল। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকরে, হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিল, যারা জেলাখানায় আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল, যারা আমাদের নেতৃকে উদ্দেশ্য করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হাওলা করেছিল, যারা নির্বাচনের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল, যারা এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যারা লাগাতার ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশয় দিয়ে দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চেয়েছিল, সে অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা বলে আমরা নিজেদের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি আজ বলতে চাই, আপনাদের তো নিজের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই। গাজীপুরে ২৯ জন দাঁড়িয়ে ১৯ জন ইলেক্টেড হয়েছে। ফখরুলের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। ফখরুল সাহেব যতই লাফালাফি করেন, যতই চোখ রাঙান, আপনার দলের নেতাকর্মীরা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জনসভায় জানিয়ে রাখলাম বিএনপি ও আসবে আরও অনেকেই আসবে।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফখরুলের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। যতই ষড়যন্ত্র করুক নির্বাচন ইনশাল্লাহ হবে। তারা জানে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ফল। নৌকা আবার বিজয়ী হবে এ বাংলার মাটিতে।

‘বিএনপি এখন ফাউল শুরু করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে জাতির পিতার ছবি কারা ভাঙচুর করেছে? মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিচিহ্নের ওপর হামলা চালিয়েছে কারা? তারা বিএনপি। তারা পুরনো সন্ত্রাস, পুরনো হাওয়া ভবন, পুরনো ভোটচুরি- এরা কে? বিএনপি।

লোডশেডিং কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন পর পুরোপুরি লোডশেডিং চলে যাবে। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। দুর্দিন কেটে যাবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের আদর্শ স্কুল মাঠে বিএনপি জামায়াতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় তারা দৌড়ঝাঁপ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিও আসবে। অনেক দল আসবে। দলের অভাব হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এ দেশে হবেই।

বিএনপির নিজেদের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন হবে, ইনশাল্লাহ। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ফল তারা জানে। এখন বিএনপির অনেক নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে জায়গায় জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে তাদের হেরে যাওয়ার ভয়। এ জন্য তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। টাকা-পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে। এত টাকা তারা কোথায় পায়? আজকে আমেরিকায় লবিস্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের লবিস্ট, এসব লবিংয়ের কোনো হিসাব নেই।

নির্বাচনের আগে কোন দেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয় এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে পার্লামেন্ট ভাঙ্গবে। আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে চলব। কারো পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে।

নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থাশীল এমন দাবি করে তিনি বলেন, সেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি এখন বেসামাল হয়ে পদযাত্রায়। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতন যাত্রায় রুপ নিবে। বিএনপির আর কোন পথ নেই।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন থেমে থাকবে না। বাইরের দেশের হস্তক্ষেপে আমরা নির্বাচন চাই না। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। নিয়ম-কানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরামর্শ লাগবে না শেখ হাসিনা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বেগম জিয়ার সময় তারা নিজেরাই আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন বানিয়েছিল। এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পার্লামেন্টের আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে প্রস্তুতি সেখানে কোনো ত্রুটি নেই। আমরা নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা কারো পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক আনতে চাইলে নিয়মমাফিক পর্যবেক্ষক আসবে। বিএনপি এখন সব হারিয়েছে। তারা এখন বেসামাল পদযাত্রা করতে। এ পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতনযাত্রায় রূপ নেবে। বিএনপির আর কোনো উপায় নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস শুরু করছে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, যেই হাতে হামলা করবে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাতে আগুন লাগাতে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। ধৈর্য আর কতকাল করব। যারা এ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, যারা পরপর কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। অপশক্তির হাতে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না। তারা ক্ষমতা থাকতে ভোট চুরি করছে। ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। আর নয় খালেদা জিয়ার দুঃশাসন, এটাই আমাদের শপথ।

দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে বিএনপি জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, যারা এ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, যারা পরপর কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে; সেই অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তির হাতে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না। তাদের হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব, নিরাপত্তা ও ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তারা (বিএনপি) এদেশকে রক্তের দরিয়া বানিয়েছিল। লুটাপাটের জন্য তারা হাওয়া ভবন বানিয়েছিল। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকরে, হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিল, যারা জেলাখানায় আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল, যারা আমাদের নেতৃকে উদ্দেশ্য করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হাওলা করেছিল, যারা নির্বাচনের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল, যারা এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যারা লাগাতার ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশয় দিয়ে দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চেয়েছিল, সে অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা বলে আমরা নিজেদের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি আজ বলতে চাই, আপনাদের তো নিজের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই। গাজীপুরে ২৯ জন দাঁড়িয়ে ১৯ জন ইলেক্টেড হয়েছে। ফখরুলের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। ফখরুল সাহেব যতই লাফালাফি করেন, যতই চোখ রাঙান, আপনার দলের নেতাকর্মীরা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জনসভায় জানিয়ে রাখলাম বিএনপি ও আসবে আরও অনেকেই আসবে।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফখরুলের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। যতই ষড়যন্ত্র করুক নির্বাচন ইনশাল্লাহ হবে। তারা জানে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ফল। নৌকা আবার বিজয়ী হবে এ বাংলার মাটিতে।

‘বিএনপি এখন ফাউল শুরু করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে জাতির পিতার ছবি কারা ভাঙচুর করেছে? মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিচিহ্নের ওপর হামলা চালিয়েছে কারা? তারা বিএনপি। তারা পুরনো সন্ত্রাস, পুরনো হাওয়া ভবন, পুরনো ভোটচুরি- এরা কে? বিএনপি।

লোডশেডিং কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন পর পুরোপুরি লোডশেডিং চলে যাবে। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। দুর্দিন কেটে যাবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।