Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপিতে আম্মা গ্রুপ আর ভাইয়া গ্রুপের অন্তর্ঘাত নিয়ে সাবধান থাকতে হবে : নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

খালেদা জিয়াকে পঙ্গু করার চেষ্টা করছে সরকার-বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, খালেদা জিয়াকে ডা. জাহিদ ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে ভয়ের ব্যাপার, সাবধান, ওরা যখন বলছে পয়জনের কথা। আমরা ভয়ে আছি বিএনপিতে থাকা আম্মা গ্রুপ আর ভাইয়া গ্রুপের কোনো অন্তর্ঘাত কী না। সামধান থাকতে হবে আমাদের। আমরা জানি না, কোনো পরিকল্পনার ছক কি না। ওরা হত্যার চেষ্টা করছে কি না আমরা জানি না।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, আজকে রিজভী সাহেব একটি বক্তব্যে বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে পয়জন (বিষ) দিয়ে হত্যার করার চেষ্টা করছে। আরে বেয়াকুব, শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছ। একবার নয়, দুবার নয় ১৩ বার হত্যার চেষ্টা করেছ। তারপরও খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হওয়ার পরও তার বয়সের ভার দেখে, বয়সের অবস্থা দেখে তাকে কারগার থেকে গুলশানের প্রসাদে নিয়ে রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তাই বেয়াকুব সাহেব, (বিএনপির সিনিয়র যুগ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে উদ্দেশ্য করে) আপনাকে বলতে চাই, যে বাসায় বসে চিকিৎসা হচ্ছে, সে বাসাটি খালেদা জিয়ার বাসা। সে বাসায় আপনারা যাওয়া-আসা করেন। সেই বাসা থেকেই দেশের সর্বোচ্চ নামিদামি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এবং সেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তারেক রহমানের বধূ ডা. জোবায়দা রহমানের পরামর্শ ক্রমে।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে যারা ভাইয়ের বোনকে, বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বিএনপি-জামায়াত। সে সময় সরকারের চেয়ে আরেক শক্তিশালী সরকার ছিল হাওয়া ভবন। সাংবাদিক বালু, অ্যাডভোকেট মমতাজকে হত্যা করেছে। যে গ্রেনেড যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তারা ১৪টি গ্রেনেড মেরেছে, মামলা নেয়নি। তারা বলে আইনের শাসনের কথা।

যুবলীগ রাজপথে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যুব সমাজ পরিষ্কার জানাতে এসেছে, রাজপথেই আপনাদের কবর রচনা করবে। বাংলাদেশে যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি যেন কোনো যড়যন্ত্র করতে না পেরে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

শঙ্কা প্রকাশ করে নানক বলেন, তবে রিজভীর কথা অনুসারে আমরা ভয়ে আছি যে তারা হত্যা করে দেশে একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। যখন সব আন্দোলনের সব পার্ট চুকিয়ে গেছে, দেখে আন্দোলন হয় না, জনগণ নামে না। এখন লণ্ডনে বসে হয়তো পরিকল্পনার একটা ছক আঁকছে যে খালেদা জিয়াকে হত্যা করে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরির করার। সাবধান থাকতে হবে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা পবিত্র মসজিদ (আল আকসা) রক্ষার জন্য লড়াই করছে, সেই ফিলিস্তিনিদের ওপর কী নিপীড়ন চালাচ্ছে। একটা টেলিফোন রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সেখানে মির্জা ফখরুল তারেক জিয়াকে বলছেন, একটা বিবৃতি দেওয়া লাগে। সেখানে তারেক রহমান বলছে, পশ্চিমাদের ক্ষেপিয়ে বিবৃতি দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরাসরি বলছেন, ফিলিস্তিনে কোনো নিপীড়ন চালানো যাবে না।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানস্থলে বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১০

বিএনপিতে আম্মা গ্রুপ আর ভাইয়া গ্রুপের অন্তর্ঘাত নিয়ে সাবধান থাকতে হবে : নানক

প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

খালেদা জিয়াকে পঙ্গু করার চেষ্টা করছে সরকার-বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, খালেদা জিয়াকে ডা. জাহিদ ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে ভয়ের ব্যাপার, সাবধান, ওরা যখন বলছে পয়জনের কথা। আমরা ভয়ে আছি বিএনপিতে থাকা আম্মা গ্রুপ আর ভাইয়া গ্রুপের কোনো অন্তর্ঘাত কী না। সামধান থাকতে হবে আমাদের। আমরা জানি না, কোনো পরিকল্পনার ছক কি না। ওরা হত্যার চেষ্টা করছে কি না আমরা জানি না।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, আজকে রিজভী সাহেব একটি বক্তব্যে বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে পয়জন (বিষ) দিয়ে হত্যার করার চেষ্টা করছে। আরে বেয়াকুব, শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছ। একবার নয়, দুবার নয় ১৩ বার হত্যার চেষ্টা করেছ। তারপরও খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হওয়ার পরও তার বয়সের ভার দেখে, বয়সের অবস্থা দেখে তাকে কারগার থেকে গুলশানের প্রসাদে নিয়ে রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তাই বেয়াকুব সাহেব, (বিএনপির সিনিয়র যুগ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে উদ্দেশ্য করে) আপনাকে বলতে চাই, যে বাসায় বসে চিকিৎসা হচ্ছে, সে বাসাটি খালেদা জিয়ার বাসা। সে বাসায় আপনারা যাওয়া-আসা করেন। সেই বাসা থেকেই দেশের সর্বোচ্চ নামিদামি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এবং সেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তারেক রহমানের বধূ ডা. জোবায়দা রহমানের পরামর্শ ক্রমে।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে যারা ভাইয়ের বোনকে, বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বিএনপি-জামায়াত। সে সময় সরকারের চেয়ে আরেক শক্তিশালী সরকার ছিল হাওয়া ভবন। সাংবাদিক বালু, অ্যাডভোকেট মমতাজকে হত্যা করেছে। যে গ্রেনেড যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তারা ১৪টি গ্রেনেড মেরেছে, মামলা নেয়নি। তারা বলে আইনের শাসনের কথা।

যুবলীগ রাজপথে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যুব সমাজ পরিষ্কার জানাতে এসেছে, রাজপথেই আপনাদের কবর রচনা করবে। বাংলাদেশে যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি যেন কোনো যড়যন্ত্র করতে না পেরে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

শঙ্কা প্রকাশ করে নানক বলেন, তবে রিজভীর কথা অনুসারে আমরা ভয়ে আছি যে তারা হত্যা করে দেশে একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। যখন সব আন্দোলনের সব পার্ট চুকিয়ে গেছে, দেখে আন্দোলন হয় না, জনগণ নামে না। এখন লণ্ডনে বসে হয়তো পরিকল্পনার একটা ছক আঁকছে যে খালেদা জিয়াকে হত্যা করে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরির করার। সাবধান থাকতে হবে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা পবিত্র মসজিদ (আল আকসা) রক্ষার জন্য লড়াই করছে, সেই ফিলিস্তিনিদের ওপর কী নিপীড়ন চালাচ্ছে। একটা টেলিফোন রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সেখানে মির্জা ফখরুল তারেক জিয়াকে বলছেন, একটা বিবৃতি দেওয়া লাগে। সেখানে তারেক রহমান বলছে, পশ্চিমাদের ক্ষেপিয়ে বিবৃতি দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরাসরি বলছেন, ফিলিস্তিনে কোনো নিপীড়ন চালানো যাবে না।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।