নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে আরও সতর্ক হতে হবে। বিএনপিই পারে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা ও তার দোসররা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা’র প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাই জানে গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। কোনো কোনো মহল নির্বাচনকে আটকে দিয়ে দেশকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে চায়। কেউ কেউ দল গঠন করে ক্ষমতায় আসতে চায়। যে কেউ দল গঠন করতে পারে, নির্বাচন করতে পারে, এতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বিশেষ মহল থেকে বিশেষভাবে দল গঠন করে কেউ যদি ক্ষমতা দখল করতে চায়, সেক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি আছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাজারের অবস্থা ভালো না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে তাকালে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নাই। দেশ এক অরাজকতা পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে সেই জন্য সরকারকে শক্ত হতে হবে। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, একটা পরিবারের একজন মানুষও ভালো না। সেটা হলো শেখ মুজিবুরের পরিবার। শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতা থাকা অবস্থায় তার ছেলে সারাদেশে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। তিনি শেখ (মুজিবুর রহমান) ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাকশাল কায়েম করে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। দুর্ভিক্ষ লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। রক্ষী বাহিনী তৈরি করে তিন বছরে বিরোধী দলের চল্লিশ হাজারের উপরে নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি কন্যা বেঁচে গিয়েছিল। তাদের আবার দুটি করে সন্তান তারা বিদেশে থাকে এখন শেখ হাসিনাও বিদেশে থাকে। এরকম চোর পরিবার বিশ্বের আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এই পরিবার বাঙালির মান ইজ্জত, দেশের মান ইজ্জত, মুক্তিযুদ্ধের মান ইজ্জত ধ্বংস করেছে। এমন একটা সেক্টর নাই সেখান থেকে তারা টাকা চুরি করেনি। এই পরিবার বাংলাদেশকে বিনাশের দিকে নিয়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই পরিবারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নয়, তাদের পুত্র সন্তান যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পরে কত উৎসব আয়োজন, এখন দেখা যায় চোরদের মধ্যে সেও আছে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য যেটা ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু হয়েছে, সেটার আলামত এখন কিছু কিছু দেখা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের পতনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের পুনঃগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্ব। এই সুযোগ কোনোভাবে নষ্ট করতে দেয়া যাবে না।’
কৃষকদলের সাবেক এ আহ্বায়ক বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য যেটা ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু হয়েছে। সেটার আলামত এখন কিছু কিছু দেখা যাচ্ছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই গণতন্ত্র এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের পতনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের পুনরগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্ব। এই সুযোগ কোনোভাবে নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে, বিএনপিই পারবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। বিএনপি পারে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে। বিএনপি পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে। বিএনপি জানে কীভাবে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে দেখতে পাবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি রাস্তায় নামলে কী হয় সেটা শেখ হাসিনা ভালো করে জানে। তাই দেশে একটি সুস্থ নির্বাচন দিয়ে বিএনপিকে পার্লামেন্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান,কৃষক দলের নেতা এসকে সাদী, জ্যোতি, ফরিদসহ প্রমুখ।